Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাই কোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছেন।

কিন্তু নাশকতার আরেক মামলায় কুমিল্লার একটি আদালত তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন গ্রহণ করায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের পর থেকে গত ৩২ দিন ধরে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

নিম্ন আদালত থেকে ওই মামলার নথি হাই কোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার দুপুরে তার জামিন মঞ্জুর করে।

সেই সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলী আদালতের দায়িতপ্রাপ্ত বিচারক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এদিন চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমায় যাত্রী পুড়িয়ে মারার মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে ২৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়।

ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে এর আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, তাদের নেত্রীকে ‘সাজানো মামলায়’ সাজা দেওয়ার পর ক্ষমতাসীনরা এখন নানা কৌশলে কারাগারে আটকে রাখার চেষ্টা করছে।

ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগ যে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার বিষয়টিই তার প্রমাণ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধ তারা মঙ্গলবারই আপিলে যাবেন। সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সবুজ সংকেত পাওয়ার আগে খালেদা জিয়ার জামিন কার্যকর হবে না।

আর এতিমখানা মামলায় জামিনের পাশাপাশি মুক্তির জন্য তাকে কুমিল্লার মামলাতেও জামিন পেতে হবে। সেজন্য ২৮ মার্চ তাকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তার আইনজীবীদের। সূত্র: বিডিনিউজ২৪