Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮:  ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ যেন আধুনিক সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতির পিতার কাছে কন্যার দায়বদ্ধতা। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাতির জনকের দৌহিত্র বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় আইসিটি বিভাগ ও অধিদপ্তর কাজ করে চলেছে এক সম্ভাবনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি পেশাজীবির সংখ্যা ২০ লাঘে উন্নীত করা, আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপিতে এ খাতের অবদান ৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ই-গর্ভমেন্ট এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ এই চারটি মূল স্তম্ভকে ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যে টানা ২য় মেয়াদের ৪র্থ বছর অতিক্রম করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম বাস্তবায়নের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সফলতার প্রতিফলন নিম্নরূপ:

* অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা পৌছে দিতে গৃহিত হয়েছে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প।
* ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেয়ায় ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সর্বস্তরের সব মানুষ ঘরে বসে সকল সুবিধা সহজেই পাচ্ছে।
* তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশ্বমানের কর্মসংস্থান গড়ে তোলার পাশাপাশি আইসিটি শিল্পের বিকাশে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির উপরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি পার্ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।
* যশোরে ১২.১৩ একর জমির উপর গড়ে তোলা শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনলজি পার্কের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
* রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি, সিলেটে ইলেক্ট্রনিক সিটি প্রতিষ্ঠা সহ সারাদেশে মোট ২৮টি আইটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
* তথ্য ও প্রযুক্তি ডাটার নিরাপত্তায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জাতীয় টিয়ার-৩ ডাটা সেন্টার আইএসও ২৭০০১ সনদ লাভ করে।
* সরকারের ২৫ হাজার ওয়েব সাইট, মেইল হোস্টিং সার্ভিস, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকার তথ্য ভান্ডার সহ ও ই-সেবা কার্যক্রম এই ডাটা সেন্টার থেকে হোস্ট করা হচ্ছে।
* ই-গর্ভমেন্ট বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন কর্মীদের জন্য আলাপন এপ্লিকেশন তৈরী, জরুরী প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে পরীক্ষামূলকভাবে মোবাইল ফোন ভিত্তিন ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ চালু করা হয়েছে।
* জাতীয় পরিচয়পত্রকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল সিগনেচারের ব্যবস্থা করেছে।

* তরুনদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কানেক্টিং স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জনতা টাওয়ারে বিনামূল্যে এক বছরের জন্য উদ্যোক্তাদের স্পেস বরাদ্দ সহ সার্বিক সকল সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
* শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রযুক্তিসেবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ২১টি টেক্সট বইকে ডিজিটাল ইন্টারএ্যাক্টিভ মাল্টিমিডিয়া টেক্স বইয়ে রূপান্তর এবং ২০০১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ স্কুল-কলেজ পর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
* মানব সম্পদ উন্নয়নে এলআইসিটি প্রকল্প গুণগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলেছে।
* আউটসোর্সিং এর উপর ইতিমধ্যে ৩০ হাজার তরুন- তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২৩ হাজার তরুণ- তরুণীকে ফ্রি ল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
* বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে।
* তরুনদের উৎসাহ, উদ্বুদ্ধ এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত করতে জাতীয় স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
* দেশের ৩০ হাজেররও অধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে পাঠ হয়েছে প্রানবন্ত।
* এমএমসি এ্যাপসের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম মনিটরিং ও মেনটরিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
* শিক্ষকবৃন্দের ওয়েব পোর্টাল “শিক্ষক বাতায়ন” ইতিমধ্যে ৩ লাখের অধিক সদস্য হয়ে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ৯ লাখ শিক্ষককে বাতায়নের সদস্য করার কাজ এগিয়ে চলেছে।
* শিক্ষকবৃন্দকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জাতীয় কনটেন্ট প্রগিযোতিা সহ সপ্তাহের সেরা শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সম্মেলন করে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
* কিশোরদের প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এবং পাঠ সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধির করার জন্য “কিশোর বাতায়ন” নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু হয়েছে। যেখানে ‘আমার জেলা আমার অহংকার’ শ্লোগানকে নিয়ে জেলা ব্রান্ডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
* একুশ শতকের শিক্ষার্ক্ষীদের জন্য একুশ শতকের শিক্ষা ব্যবস্থা বিনির্মাণ প্রয়োজন। এজন্য একুশ শতকের শিক্ষক তৈরীতে ‘গুণগত শিখন, টেকসই উন্নয়ন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
* সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমকে তুলে ধরার জন্য জেলা উপজেলা পর্যায়ে মেলা, সেমিনার ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে।
* গার্মেন্টস খাতের পর আইসিটি খাত সম্ভাবনাময় খাত বিবেচনা করা হচ্ছে।
* আইসিটি খাতে বাংলাদেশের এই স্বদর্প পদাচারনার স্বীকৃতি দিয়েছে বিশে^র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। প্রদান করেছে সম্মানজনক এওয়ার্ড।

অবকাঠামো তৈরি, শিক্ষার মাধ্যমে জনসম্পদ তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৪১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বাস্তবায়িত হচ্ছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা এগিয়ে চলেছি ১৬ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এই মুক্তির মধ্যেই নিহিত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা।

* সূত্র: ইন্টারনেট।