Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৭ মার্চ ২০১৮ : ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত আলমুন নাহার অ্যানি এখনও জানেন না যে তার প্রিয়তম স্বামী ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও আদরের মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামাররা আর নেই। তাকে জানানো হয়নি যে বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছেন তারা। 

গতকাল প্রিয়কের চাচাতো ভাই সোহানুর রহমান এসব বিষয় উল্লেখ করে বলেন,  ‘অ্যানি ভাবি এখনও জানেন না প্রিয়ক ভাই মারা গেছেন। উনাকে বলা হয়েছে, আমি ভাইয়া আর বাবুকে নিয়ে গেছি।’
 
ফারুক হোসেন প্রিয়ক পর্যটক হিসেবে স্ত্রী ও শিশুকন্যাসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটে নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা। নেপাল ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ফারুক হোসেন প্রিয়ক এবং তার তিন বছর বয়সী একমাত্র কন্যা প্রিয়ংময়ী তামাররা।
 
প্রিয়কের বন্ধু ইজাজ আহমেদ গতকাল বলেন, বিমানের ভেতর থেকে মেয়ে প্রিয়ংময়ীকে বের করতে গিয়েই প্রিয়ক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। মেহেদী আর স্বর্ণা প্লেনের সামনের দিকে বসা ছিল। এদের পেছনে প্রিয়ক, তার স্ত্রী অ্যানি ও তাদের সন্তান প্রিয়ংময়ী ছিল। প্লেনে আগুন ধরে যাওয়ার পর স্বর্ণা ও অ্যানির হাত ধরে মেহেদী বেরিয়ে যান। প্রিয়কের কোলে মেয়ে প্রিয়ন্তি ছিল। প্রিয়ংময়ীক আগুন থেকে বের করে আনতে গিয়েই প্রিয়ক মারা যান বলে জানতে পেরেছি।
 
এদিকে স্বর্ণার বাবা সৈয়দ আবুল হোসেন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি টঙ্গীর দত্তপাড়ায়। দেড় বছর আগে মেহেদীর সঙ্গে বিয়ে হয়। এক বছর আগে স্বর্ণা গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করেছে। মেয়ের শখ ছিল ডাক্তার হবে। তাই মেয়েকে ডাক্তারি পড়িয়েছি।
 
স্বর্ণার বরাত দিয়ে তার বাবা বলেন, স্বর্ণার শ্বাসনালী দিয়ে ধোঁয়া ঢুকেছে। সে কারণে তার বারবার বমির ভাব আসছে।