খােলাবাজার ২৪, বুধবার,২৮মার্চ,২০১৮ঃ নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর চাটখীল উপজেলা থেকে আমাদের ক্রাইম রিপোর্টার প্রবীর বিশ্বাস জানাযায় যে-রামনারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ অন্তরভুক্ত ইটপুকুরিয়া বাজারে গত ২২/০৩/১৮ইং তারিখ সন্ধায় গ্রামিন পঞ্চায়েত শালীষিতে দুই পক্ষের ভয়াবহ মারামারি ও দাঙ্গায় চাটখীল শাখা যুবদলের প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম(৫৪)কে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করাহয়।
উক্তদাঙ্গায় ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ নেতা সন্ত্রাসী আব্দুল করিম(৩৬)ও মোবারক মিয়া(৩৯)প্রতিপক্ষের আক্রমন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল করিম রাস্তায় মৃত্যু বরনকরে এবং চিকিৎসারত অবস্থায় ভোররাতে মোবারক মৃত্যু বরনকরে।
পরদিন উভয়পক্ষ একে-অপরকে দোষী মানিয়া চাটখীল থানায় মামলা দায়ের করে। প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে ঘটনা প্রসঙ্গে বাস্তবতার বিষয় জানাযায় যে-ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা পশ্চিম গোমাতলী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম সরকারী দলীয় ক্ষমতার দাপটে এলাকাবাসিকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মূখি জোরজুলুম চালিয়ে কোনঠাষা ও জিম্মি করে রেখেছেন।তিনি নীজ সন্ত্রাস বাহিনীর দ্বারা চাঁদাবাজি,অন্যের সম্পত্তি জোরদখলসহ আরও বিভিন্ন গুরুতর অপরাধী কার্যক্রমের কারনে গ্রামবাসি তাহার উপর চরম ক্ষিপ্ততা ও কঠোর প্রতিবাদ জানায়।
ঘটনা প্রসংগে উল্লেখ্য যে এলাকার মসজিদের ইমাম মৌলানা দীন মোহাম্মদ সাহেব অসৎ পথালম্বীদের সৎ পথে পরিচালিত করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় নির্দেশনায় হাদিস কোরানের বয়ানের মাধ্যমে ন্যায় পড়ায়ন পথে চালিত করার উপদেশ বানি প্রচারনা চালায়। কিন্তু অত্যন্ত দূঃখের বিষয় যে-চোরেনা শোনে ধর্মেরবানি-তাই প্রতিপক্ষ মেম্বার আব্দুর রহিম মসজিদের ইমামকেসহ এলাকাবাসির বিরুদ্ধে কঠোর সচ্চার ও ভয় ভীতকর হুমকি ধামকি দ্বারা ত্রাসের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনাকর ক্রোধ ও শত্রুতার সৃষ্টি ঘটে এবং একপর্যায় বিষয়টি পঞ্চায়েত শালীসি পর্যায় উপস্থাপিত হলে প্রতিপক্ষ মেম্বার আব্দুর রহিম চরম ক্ষুদ্ধহয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য ও তাহার প্রতিপক্ষের উপর সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমন চালালে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ সংঘঠিত হয়।
আমাদের প্রতিনিধি থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ভাষ্য মোতাবেক জানতে পাড়ে যে-এই ঘটনাটি সর্ম্পূন রাজনৈতীক প্রতিহিংশার প্রেক্ষাপটে মসজিদ কমিটির সদস্যরা বিরোধী দলীয় প্রভাবে সুপরিকল্পীত ভাবে সংঘঠিত করিয়াছে। বিধায় পুলিশ প্রশাসন করিম ও মোবারক হত্যার বিরুদ্ধে সরকার বাদীর দায়েরকৃত মামলা নং-১২(৩)১৮,তাং-২৩/০৩/১৮ইংএর মোট ১৪জন এজাহার ভুক্ত আসামীর মধ্যে ৯জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেলে বন্দিকরতে সক্ষম হয়েছেন। যাহাদের মধ্যে গোমাতলী গ্রামের হাজতী আসামী মসজিদের ইমাম ১। দীন মোহাম্মদ, পিং-মৃত মৌঃ ইউসুফ মিয়া,২।জাহাঙ্গীর মন্ডল,পিং-আব্দুল রশিদ,৩। মোঃ হাবিব,পিং-ডাঃ কালু মিয়া,৪। ফারুক হোসেন, পিং-মতিন মাষ্টার,৫।নাদের জামান,পিং-মৃত ওয়াজ উদ্দিন, শংকরপুর গ্রামের ৬।আয়াত উল্লাহ,পিং-মৃত ইউসুফ আলি,৭। খায়ের উদ্দিন,পিং-হাজী জামাল মিয়া,৮।সাবু আলম,পিং- সেকেন্দার মিয়া,৯। মোঃ হাবিব উল্লাহ,পিং-মোঃ খাজাউল্লাহ। ঘটনার দিন থেকে পলাতক গোমাতলী গ্রামের মূখ্য আসামী ১০। আবুল হোসেন,পিং-মৃত নুরুজ্জামান,১১। আবু সালেম,পিং-মৃত মুসা মিয়া,১২। সাজ্জাত হৃদয়, পিং-মোঃ জাহাঙ্গির আলম,১৩।নুর মোহাম্মদ, পিং-ফাজিল মিয়া। শংকরপুর গ্রামের ১৪। নজরুল মিয়া,পিং-মৃত হাজী সীরাজ মিয়াগন।
কিন্তু প্রতিপক্ষ বিরোধী দলের সমর্থক ঘটনা স্থলে ক্ষমতাশীন দলের আক্রমনে নিহত ভিকটিম আবুল কাশেসের হত্যা মামলা নং-১৭(৩)১৮,তাং-২৩/০৩/১৮ইং এর এজাহার ভুক্ত মোট ৯জন আসামীর মধ্যে আজঅব্দি আইন প্রশাসন কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনাই। যাহার মধ্যে মূখ্য ১নং আসামী মেম্বর আব্দুর রহিমকেসহ তাহার দলের সঙ্গিসাথী ২। মোঃ হারুন,পিং-মৃত রশিদ মিয়া,৩। ইমনা আলী,পিং-নজু সরদার,৪। নোমান পাটোয়ারী,পিং-জলিল পাটোয়ারী,৫।মজনু হাজারী,পিং-মৃত জামাল হাজারী,৬। মাসুদ হাসান,পিং-হাজী গোলাম মিয়া,৭। কাসিম উদ্দিন,পিং-দৌলত আলী,৮। মুনির আহমেদ মুনা,পিং-জাকির হোসেন ৯। নূর মোহাম্মদ পিং-বশির মিয়া সার্বিক ভাবে অপরাধের সাথে জড়ি–ুত। উল্লেখ্য এলাকাবাসির মাধ্যমে জানাযায় যে-উক্ত আসামীরা সরকারী দলের ক্ষমতার জোরে স্বাধীন ভাবে এলাকায় বিচরন করছে এবং মামলার বাদীকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতকর নির্যাতন ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফলে আত্বরক্ষার্থে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আতœগোপনে আছে এবং প্রাই আইন রক্ষাকারি ফোর্স আসামীদের গ্রেফতারের নামে আত্যিয় সজনের উপর বিভিন্ন মূখীচাপ ও নির্যাতন অব্যহত রেখেছে।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসিরা মেম্বর সাহেবের দলীয় অনৈতীক প্রভাব ও আইন সংস্থার নির্যাতনের ভয়ে প্রকৃত ঘটনার কোন সত্যতা প্রকাশে সর্ম্পুন ভীত গ্রস্থহয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষিরা জীবনের নিরাপত্তার হুমকির কারনে বাস্তবতার স্বিকার উক্তি বিষয়টি থানা বা আদালতে প্রদানে বিভিন্ন ভাবে অনিহা প্রকাশকরছে। থানার মাধ্যমে আরও নিশ্চিত হওয়া গিয়াছে যে-সরকার বাদী যৌথ হত্যার মামলার আইনি প্রক্রিয়া তরিৎগতীতে অগ্রসর হচ্ছে এবং মামলার দ্রুত নিস্পত্তির জন্য যথাসম্ভব দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ প্রতিবেদন দাখিল করাহবে।