খোলাবাজার২৪ঃ মঙ্গলবার, ১৫মে, ২০১৮ঃ নাক ডাকা বা ঘুমে দম বন্ধ হয়ে যাওয়া রোগীদের জন্য সুখবর যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সি ব্লকের সপ্তম তলায় প্রশান্তির ঘুমের ল্যাব (স্লিপ ল্যাব) উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘স্লিপ ল্যাব এন্ড সিএমই অন স্লিপ এ্যাপনিয়া ’-এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ল্যাবটি রোগীদের পরীক্ষার জন্য রাতে খোলা থাকবে এবং ঘুমের মধ্যেই পরীক্ষা করা হবে।
অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জিারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল।
এতে ‘ওভারভিউ এন্ড এ্যাসেসমেন্ট অফ অবসট্রাকটিভ স্লিপ এ্যাপনিয়া’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. মো. মনজুরুল আলম।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, স্লিপ এ্যাপনিয়া বা নাক ডাকার সুচিকিৎসা ও প্রতিরোধের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. মো. মনজুরুল আলম জানান, বিশ্বে স্লিপ এ্যাপনিয়ার রোগীর সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার পুরুষদের ৩ থেকে ৭ শতাংশ এবং মহিলাদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ নাকডাকা সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, ধূপমান, এ্যালকোহল সেবন, ফাস্টফুড খাবার গ্রহণ, মুটিয়ে যাওয়া, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি কারণে নাকডাকা সমস্যা হয়ে থকে। নাকডাকা সমস্যা প্রতিরোধে শাক-সবজি বেশি করে খাওয়া এবং ব্যায়ামের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। নাক ডাকায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিপাপ ব্যবহার করতে পারেন। শিশুরাও টনসিল এ্যাডেনোইড-এর কারণে এ নাকডাকা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। নাক ডাকা সমস্যা দূর করতে অনেক সময় সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বিভাগীয় সূত্র জানিয়েছে, স্লিপ ল্যাব-এর কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জিারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, অধ্যাপক ডা. মো. মনজুরুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াহিদ্দুজ্জামান, কনসালটেন্ট ডা. মো. ইদ্রিস আলীসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করবেন।