খোলাবাজার২৪.মঙ্গলবার,০৩ জুলাই, ২০১৮ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে প্রতারণার কৌশল নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রায় দু’মাস আগে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। সেদিনই আমরা বলেছিলাম, এই ঘোষণা একটি নাটক ও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি
প্রতারণা। এখন সেটি অক্ষরে অক্ষরে দৃশ্যমান হচ্ছে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে প্রতারণার কৌশল নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের আচরণে এটা আবারো প্রমাণিত হলো যে, শেখ হাসিনা যাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন তাদের ভিটে-মাটিতে ঘুঘু চরিয়ে দিতে মোটেই দ্বিধা করেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই রক্তে রঞ্জিত। ছাত্রীদের ওপর লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের হিড়িক এক আতঙ্কজনক মাত্রা লাভ করেছে। কোটা আন্দোলনের ছাত্রনেতা রাশেদ কোন অপরাধের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড খাটছে? ধারালো অস্ত্রে মারাত্মকভাবে আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রনেতা নুরু যাতে চিকিৎসা না পায়, সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা হানা দেয়। চিকিৎসা না দিয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তাকে বের করে দেয়া হয়। সে গতকালও সাংবাদিকদের সামনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে।
রিজভী আহমেদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শ্ক্ষিাঙ্গনে আন্দোলনকারীদের ওপর চলছে পুলিশের প্রোটেকশনে ছাত্রলীগের নারকীয় আক্রমণ।
তিনি আরো বলেন, এসময় ছাত্রীদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা ‘৭১ এর হানাদার বাহিনীর নির্মতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যেভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তাতে আওয়ামী লীগের সেই লগি-বৈঠার তাণ্ডবের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বিএনপি এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের নামের সাথে ছাত্র নামটি জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ গোটা ছাত্র সমাজকেই অপমাণিত করেছে। ভোগ, লালসা, দাপট, খুন, জখমের চেতনায় বর্তমান ছাত্রলীগকে গড়ে তোলা হয়েছে।