Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

‘বিবেকের তাড়নায় এখানে দাঁড়িয়েছি, কোটা সমস্যার ন্যায্য সমাধান চাই’

খোলাবাজার২৪.মঙ্গলবার,০৩ জুলাই, ২০১৮ঃদেশের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছনার ঘটনায় খালি পায়ে জোহা চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞাব বিভাগের শিক্ষক ড. সালেহ হাসান নকীব, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আকতার বানু, আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইফতেখায়রুল আলম মাসুদ, ফার্মেসি বিভাগের বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলামসহ প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তারা জোহা স্যারের মাজারে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় সালেহ হাসান নকীব বলেন, কাউকে কিছু বলার নেই। আমাদের দুঃখবোধ থেকে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। বিবেকের তাড়নায় এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। বর্তমানে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হচ্ছে তা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। সভ্য সমাজে কোনো পেশিশক্তি কখনোই কোনো ইস্যুকে হ্যান্ডেল করার এখতিয়ার রাখে না।

তিনি বলেন, যেটা ন্যায্য, বিবেক সমর্থন করে কোটা সংস্কারে সেরকম একটা সমাধান চাচ্ছি। এটা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, ৭১ এ স্বাধীনতার ঘোষণার যে পরিপত্র ছিল সেখানে সাম্য, ন্যায় বিচার ও সবার অধিকারের বিষয়টি খুব জোরালোভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রতিবাদী ওই শিক্ষকদের সাথে কথা বলে সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ জানান।

তখন প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে নকিব বলেন, এখানে কোনো সহিংসতার আশঙ্কা নেই। যেখান থেকে সহিংসতার সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে গিয়ে সমাধান করেন।

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, কতিপয় জামাত-বিএনপি শিক্ষক দুই মিনিট নীরবতা পালনের নাম করে এখানে অবস্থান করে। পরে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা-বার্তা বলে ছাত্রদের জড়ো করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হই। ক্যাম্পাস এখন মোটামুটি শান্ত আছে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খালি পায়ে অফিস করার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান। তবে বিভাগ থেকে তাকে আসতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কেবিএম মাহাবুবুর রহমান বলেন, ফরিদ উদ্দিনের বিষয়ে ওপর থেকে রিপোর্ট এসেছিল। তিনি খালি পায়ে প্রতিবাদ জানালে খারাপ একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা আমরা কখনোই হতে দিতে পারি না।

এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হতো, তাকে নিয়ে আমরা বিপদে পড়তাম। তাই বিভাগ থেকে তাকে যেতে দেয়া হয়নি।