Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

 খোলাবাজার২৪.সোমবার ,০৯ জুলাই, ২০১৮ঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা প্রোক্টরের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ অবস্থান, ঘোরাফেরা এবং কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটি।

এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলেও সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

সেখানে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে সাম্প্রতিককালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য” গত ৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা গত কয়ে মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, যার কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

তাদের আন্দোলনের মধ্যে এক রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে তাণ্ডব চালানো হয়। আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে একটি ছাত্রী হলে রাতভর চলে উত্তেজনা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে কোটা পদ্ধতি আর না রাখার কথা বলায় আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না পেয়ে তারা নতুন করে আন্দোলনে নামলে ওই কর্মসূচিতে কয়েক দফা ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাগুলোর তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, প্রভোস্ট কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছাত্রত্ব নেই এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না। ‘অছাত্রদের’ হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হবে।

হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো অভিভাবক বা অতিথিও হলে অবস্থান করতে পারবে না জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে হল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবে।

“বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক হল ও হোস্টেলসমূহে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, চরমপন্থি ও উগ্র ভাবাদর্শ প্রচারে ও কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ও হল প্রশাসনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থিরা যাতে কোনো অবস্থাতেই হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে না পারে সে ব্যাপারে হল প্রশাসন ‘সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর’ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয় প্রভোস্ট কমিটির সভায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সকল হলে অবস্থানরত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসন নিয়মিত মত বিনিময় সভা করবে।