Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খোলাবাজার২৪ বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই, ২০১৮ঃ  রামগড়ে পাহাড়ি টিলায় প্রথম বারের মতো ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ করা বাগানে বারি আম-৪ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ আম। পার্বত্য এলাকায় সম্পূর্ণ নতুন জাতের এ আমটি এবার স্থানীয় বাজারে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। ভালো দাম ও অধিক চাহিদার কারণে চাষিরাও বেশ খুশি। 

পার্বত্য এলাকায় সাধারণত আম্রপালি আমের চাষাবাদ হলেও রামগড়ে পাহাড়ি টিলায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে বারি আম-৪ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সোহাগ নামে এক বাগান মালিক। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা খাগড়াবিলে ১০ একর টিলাভূমিতে সৃজিত বাগানে রোপণের দেড় বছর পর এবার প্রথম ফল ধরেছে প্রায় এক হাজার গাছে। উঁচু টিলার গা জুড়ে চারিদিকে লাগানো প্রতিটি গাছেই গড়ে ২৫টি আম ধরেছে। একটি আমের ওজন ৭শ গ্রাম হতে এক কেজি পর্যন্ত। ব্যাগিং পদ্ধতিতে কোনো প্রকার বিষ প্রয়োগ ছাড়াই  বাগানটিতে আমের  চাষ করা হচ্ছে।

বাগানের মালিক মেজবাহ উদ্দিন সোহাগ বলেন, ২০১৬ সালে তিনি পাম গাছ কেটে আম বাগান করেন। রংপুর থেকে বারি আম-৪ এর চারা সংগ্রহ করেন। রোপণের এক বছর পর মুকুল আসলেও এগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় গাছ সবল হওয়ার জন্য। এ বছরই প্রথম আম ধরেছে। তিনি বলেন, তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ফলন হয়েছে। বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ফল উত্পাদনের জন্য তারা ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এতে ফলের আকার ও রং আকর্ষণীয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে এখানকার আম বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা আছে তার। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাগানে সেচের জন্য শক্তিশালি পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।

রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার আলী ফিরোজ বলেন, বারি আম-৪ জাতটি তারাই উদ্ভাবন করেছেন। পার্বত্য এলাকার মাটি ও আবহাওয়া এ আম চাষাবাদের জন্য পুরোপুরি উপযোগী। আম্রপালি বা অন্যান্য আম শেষ হলেই বারি আম-৪ পাকে।