খোলাবাজার২৪ শনিবার ২৮ জুলাই, ২০১৮ :রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেছেন, ‘যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার আমরা পাইনি।’
শুক্রবার নগরীর লক্ষীপুর কাঁচাবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবিসহ কোনো অভিযোগই নির্বাচন কমিশন আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাজশাহীর সাবেক মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সেনাবাহিনী নিয়োগ করে রাজশাহীর ভোটে একটা নিরপেক্ষ অবস্থান সৃষ্টি করা হোক।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপি প্রার্থীর সেনা মোতায়নের দাবি এখন আর পূরণ করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশের চেয়েও ভালো পরিবেশ আছে রাজশাহীতে। কাজেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি রাজশাহীতে নাই।’
আতিয়ার আরো বলেন, ‘যত অভিযোগ পেয়েছি, কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে পাইনি। আমাকে বলেছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে, কোথায় ছিঁড়ে ফেলেছে তা জানি না।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯০ শতাংশ প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার আওয়ামী লীগ ‘ঘরানার’ লোক থেকে বাছাই করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। আগের রাতে নৌকায় সিলমারা ব্যালট ভোটকেন্দ্রে লুকিয়ে রাখার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
‘এখানে এইচটি ইমাম নামে এক ভদ্রলোক আছেন, মাননীয় উপদেষ্টা বর্তমান সরকারের, তিনি বেছে বেছে… ৯০ পার্সেন্ট আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকদের পোলিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার রাখা হয়েছে। আমরা আজকে দুপুরের মধ্যে এর গেজেট চাই।’
‘নিরপেক্ষ লোকদের’ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার করার দাবি জানানোর পাশাপাশি আগের দিনের মতো শুক্রবার থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বুলবুল।