খোলাবাজার২৪ সোমবার ৩০ জুলাই, ২০১৮ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষা এবং সকল সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যত।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও নূন্যতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশীদিন চলতে পারবেন না। যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোন পথ খোলা রাখেননি। তিনি ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে জনকল্যাণে, সেবার মনোভাব ও শিক্ষার জন্য অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে অনুরোধ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষার চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে এবং এগুলোর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন সারাবিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে আমরা সার্কভুক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও উপাচার্য ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া প্রিফন্টেন (ইবহড়রঃ চৎবভড়হঃধরহব) সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তনে ৫ হাজার ৮৫৬ জন ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ৬ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৫ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর ও ৪ জনকে চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।