খোলাবাজার২৪.বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট , ২০১৮ঃ রাজশাহীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর হাতে থাকা এই প্ল্যাকার্ডের ছবি আজ অনেকেই শেয়ার করেছেন।
রাজধানীর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার বিচার চেয়ে নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন শহরের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের জেরে আজ বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারপরও টানা পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
গত কয়েক দিনের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা বিভিন্ন উক্তি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
ওই উক্তিগুলো কয়েকটি হলো, ‘পুলিশ আংকেল, আপনার চা-সিগারেটের টাকা আমি আমার টিফিনের টাকা দিয়ে দিচ্ছি। তাও আপনি এসব গাড়ি চালাতে দিয়েন না’, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ’, ‘মুজিব কোটে মুজিবকেই মানায়, চামচাকে না’, ‘বিবেক তবে কবে ফিরবে’, ‘মা তুমি আমার জন্য আর অপেক্ষা করো না, আমি আর ঘরে ফিরবো না’, ‘আমরা যদি না জাগি মা ক্যামনে সকাল হবে’, ‘জনপ্রতিনিধিদের সপ্তাহে অন্তত তিনদিন গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হবে’, ‘শিক্ষকের বেতের বাড়ি নিষেধ যে দেশে, পুলিশের হাতে লাঠি কেন সেই দেশে’, ‘আমরা ৯ টাকায় ১ জিবি চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘4G স্পিড নেটওয়ার্ক নয়, 4G স্পিড বিচার ব্যবস্থা চাই’, ‘পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নাই ’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘মা, ওরা বাস আর দেওয়ালটার মাঝখানে আমার জন্য জায়গা রাখল না’।
প্ল্যাকার্ডে শিক্ষার্থীরা আরও লেখে, ‘ছাত্রদের আপাতত রাস্তা সামলাতে দিন, মন্ত্রী-পুলিশদের স্কুলে পাঠান শিক্ষিত করতে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘সড়ক দুর্ঘটনার নামে গণহত্যা বন্ধ কর’, ‘অসতর্ক ড্রাইভিংকে না বলুন/ড্রাইভারকে সতর্ক করুন’, ‘বি দ্য চেঞ্জমেকার টুডে অর বি দ্য ভিকটিম টুমরো’, ‘সড়কে হত্যার একমাত্র শাস্তি, ফাঁসি চাই’।
গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। উত্তরাগামী জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস মিরপুর ফ্লাইওভার থেকে নেমে অপর একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দিয়া খান মিম শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং আবদুল করিম রাজীব (১৭) দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।