Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলাবাজার২৪.শুক্রবার ১০ আগস্ট ,২০১৮ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ৫ বছর তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের তরুন প্রজন্ম ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে। তারা ডিজিটাল সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবে।’
আজ শুক্রবার বিকালে নাটোরের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে মত বিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত দেশের কাতারে অগ্রসরমান। এদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ অর্থাৎ ১১ কোটি তরুণ-তরুণী উন্নত বাংলাদেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রযুক্তি খাতে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত নাটোরে দেশের প্রথম ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে নাটোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’ অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল সারাদেশের সাথে বিনিময় করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সাররাই এক একজন মেন্টর। তাদের হাতেই এেেদশ একদিন সোনার বাংলা হবে এবং সেদিন সমাগত প্রায়।’
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর সদর-নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
নাটোরের পুরনো জেলখানা ভবন এলাকায় আড়াই একর জমির উপরে ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়। এরমধ্যে রয়েছে পুরনো জেলখানা ভবন সংস্কার করে প্রশিক্ষণ সেন্টার তৈরী ও ছয়তলা ফাউন্ডেশনের উপর নতুন দ্বিতল ভবনে ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
সেন্টারটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এন্ড নেটওয়ার্কিং ট্রাবলশ্যুট এবং কন্ডাক্টিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
কার্যক্রম চালু করার পর ২১টি ব্যাচে মোট ৪৮০ জন তরুন-তরুনী প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ইনকিউবেশনের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।