খোলাবাজার২৪. মঙ্গলবার ১৪ আগস্ট ,২০১৮ঃ আওয়ামী লীগ সরকার আইনি প্রক্রিয়ার নামে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জুলুম ও অত্যাচার করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, কোরবানি ঈদেও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মেলেনি। অন্যায় সাজায় তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আইনি প্রক্রিয়ার নামে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর অত্যাচার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার নামে আওয়ামী লীগ সরকারি প্রক্রিয়ায় তার ওপর জুলুম করা হচ্ছে। অবৈধ সরকার নিজেদের নিরাপদ রাখতেই এ জুলুম ও অত্যাচার করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাদের যত ভয় ও আতঙ্ক। আতঙ্কমুক্ত থাকতেই তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত রাখেনি। তাকে সুচিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি।
বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে এদেশে একতরফা নির্বাচন হবে না বলেও জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন ইলেকশনের নামে সিলেকশন হতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে ঈদের আগেই দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে।
রিজভী আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কোটা বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করেননি। এখন আবার সচিব পর্যায়ের কমিটি প্রায় সর্ব পর্যায়ের কোটা তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে কোটা সংস্কারের আরও প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ আদালতের কোনও রায় নেই, পর্যবেক্ষণ আছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল নয় বরং সংস্কার চায় বলে উল্লেখ করে রিজভী আরো বলেন, সব কোটা বাতিল করার প্রস্তাব মানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারো প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করা। এটিও আরেকটি প্রহসন। আওয়ামী সরকার প্রতারণা-ছলনার ওপর শাসনদণ্ড অবৈধভাবে ধরে রেখেছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষর্থীদের প্রসঙ্গে রিজভী আসমেদ বলেন, রক্তে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের স্কুল-ড্রেস। আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের পথ দেখিয়েছে। একদিকে প্রশংসা আরেকদিকে দমন-পীড়ন করছে সরকার।
রিজভী আহমেদের অভিযোগ, সশস্ত্র ছাত্রলীগ-যুবলীগের হেলমেটধারীরা পুলিশের বেস্টনিতে শিশু-কিশোর ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, অথচ পুলিশের আইজি বলেছেন- গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই হেলমেটধারীদের ধরার ব্যাপারে কিছুই বলেননি। পুলিশ ধরছে আহত শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের ও সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীদের।’ ঈদের আগেই আটক সব শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান এ বিএনপি নেতা।
