খোলাবাজার২৪. বুধবার ১৫ আগস্ট ,২০১৮ঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক যেমন জনপ্রিয় তেমনি সমালোচিতও। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেকেই এখানে ফাঁদ পাতেন। কোরবানির পশুর মজুত ও সরবরাহ নিয়েও একটি চক্র ফেসবুকে ফাঁদ পেতে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।
ভারত থেকে ছয় মাস বা এক বছর আগে বাংলাদেশে প্রচুর গরু এসেছে। এসব গরুর পুরাতন ছবি কোরবানির সামনে নতুনভাবে ফেইসবুকে শেয়ার করা হয়। ফলে ক্রেতারা মনে করে দেশে প্রচুর ভারতীয় গরু এসেছে, তাই দেশি গরুর দামও কমে যাবে। ফেসবুক-ইউটিউবে এমন প্রচারণার ফলে কোরবানির সময় বেচাকেনায় ভাটা পড়ে বলে জানান ব্যাপারীরা।
রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটের ব্যাপারীরা ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ে তাদের আতঙ্কের কথা জানালেন বুধবার (১৫ আগস্ট)। কোরবানিকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পশু নিয়ে মিথ্যা পোস্ট না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
ব্যাপারীরা জানান, গত কোরবানির ঈদে অনেকে ফেসবুকে দেখিয়েছে হাজার হাজার গরু ভারত থেকে দেশে এসেছে। আসলে ফেসবুকে যত গরু দেখানো হয়েছে তত গরু দেশে আসেনি। ফলে দাম কমার আশায় শেষ সময়ে অনেকে কোরবানির পশু কিনেছেন। অনেকে আবার কোরবানির পশু না কিনে বাড়ি ফিরেছেন। অনেক ব্যাপারী কম দামে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরেছেন।
কুষ্টিয়া সদরের সিরাজ ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, “মনে করেন ছয় মাস আগে ইন্ডিয়া থেইক্কা হাজার হাজার গরু আইছে। ওই ছবিগুলা মোবাইলে ধইরে রাখছে। ঈদের সময় সেই পুরাতন ছবি নেটে (ফেইসবুকে) ছাইড়ে দিচে। হাজার হাজার গরু আসছে গরুর দাম স্বস্তা হবে। এরপরে পাবলিক গরু কিনে না। এই অবস্থায় গরুর বাজার নিউট্রাল থাকে। পরে পাবলিক কুনু গরু পায় না, আবার আমরাও কুনু বাজার পাই না।”
কোরবানির ঈদের সামনে কোরবানির পশু নিয়ে অনেকে শর্ট ফিল্ম তৈরি করেন। গাবতলী পশুর হাটে ক্যামেরা হাতে অনেকে ঘুরে বেড়ান। হাটে গরু কম অথচ ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যায় হাটে প্রচুর গরু সরবরাহের চিত্র। এসব ইউটিউব চ্যানেলের প্রতি ক্ষুব্ধ ব্যাপারীরা।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এক ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, “হাটে ক্রেতার থেইক্কা, ফেইসবুক পুলাপান বেশি। ওরা একটা গরু ১০ বার দেখায়। আমার ডোগায় (গরুর রাখার স্থান) ৩০টা গরু বার বার দেখায়, আর নেটে ছাড়ে। অন্যজনের ডোগা খালি এটা দেখায় না। এতে গাহাক (ক্রেতা) আসে না, বাজার দম (বেচাকেনা বন্ধ) মাইরে থাকে।”