খোলাবাজার২৪. শুক্রবার ১৭ আগস্ট ,২০১৮ঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিল জাতির পিতার জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও জাগ্রত করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ’স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন, সমার্থক। তিনি বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধু চিরকাল বাঙালি জাতির মাঝে বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন প্রজœ¥কে বিশ্বমানের জ্ঞান, প্রযুক্তি ও দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৭১’র পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পরাজিত শক্তি ত্াঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এটা ছিল ইতিহাসের নিষ্ঠুর কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ হত্যাকান্ড জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল,যাতে যে উদ্দেশ্য ও চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন না হয়। বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। শুধু বড় ডিগ্রী নিলেই হবে না। দক্ষতা না থাকলে সমাজের বোঝা। কাজের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অ্যালামনাই সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কায়সার এবং সদস্য সচিব সুভাষ সিংহ রায়। এসোসিয়েশনের সদস্য মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার সভা পরিচালনা করেন।