Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলাবাজার২৪.শনিবার ১৮ আগস্ট ,২০১৮ঃ জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর কুরবানির হাটগুলো। গরু, মহিষ, ছাগলসহ বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরণের কুরবানি উপযোগী পশু। বিক্রির দিক থেকে এগিয়ে আছে ছোট গরু ও ছাগল। দাম না পাওয়ায় এখনো বিক্রি হচ্ছে না বড় গরু।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে জমে উঠেছিল কুরবানির হাট। ক্রেতা, দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল হাটগুলো। বিক্রিও হয়েছে বিক্রেতাদের আশানুরুপ।

শনিবার সকাল থেকে কিছুটা হলে শিথিল হয়ে এসেছে ক্রেতা আনাগোনা। বিক্রেতারা বলছেন আগামীকাল রবিবার থেকে পুরোদমে জমে উঠবে কুরবানির হাট।

দেশের সবচেয়ে বড় কুরবানির পশু বিক্রির হাট গাবতলী পশুর হাট। হাট ঘুরে দেখা যায়, খণ্ড খণ্প ক্রেতা আনাগোনা রয়েছে হাটটিতে। বিক্রি বেশি দেখা গেছে ছোট গরুর।

গাবতলী গরুর হাটে এক ট্রাক (১৩টি) গরু নিয়ে এসেছেন সানোয়ার। কুষ্টিয়া থেকে আসার তৃতীয় দিনেও বিক্রি হয়নি সানোয়ারের একটি গরুও। ঢাকাটাইমসকে সানোয়ার বলেন, ‘আমার কোনো গরু দেড় লাখ টাকার নিচে নাই। এখন সব কাস্টমার বাছুরের। বড় গরু কেনার কাস্টমার আসে না।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার কাস্টমার ছিল সব ছোট গরুর। বড় গরুর কেউ দামই বলল না। ১৯/২০ তারিখের আগে বড় গরুর কাস্টমার আসবে না।’

এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গ হাটে গরু উঠতে শুরু করেছে। শুক্রবার সারা বিকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটে এসেছে কুরবানির অনে গরু। এই ধারা অব্যাহত ছিল শুক্রবার সারা রাত। শনিবার সকাল থেকে একই হারে গরু আসছে গাবতলী হাটে। মূল হাটে গরুর আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

মূল হাটের বাহিরের বর্ধিতাংশেও রাখা হয়েছে প্রচুর গরু। গাবতলী বেড়িবাঁধ সড়কের উভয় পাশে রাখা হয়েছে গরু বাধার ব্যবস্থা। সেখানেও রাখা হচ্ছে বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তি মালিকানা গরু।

ক্রেতার সুবিধার্থে এবারো হাটে রাখা হয়েছে নানা ব্যবস্থা। ক্রয়কৃত পশুর হাসিল পরিশোধের জন্য গাবতলী পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে ১২টি হাসিল ঘর।

হাসিল দেখাশোনা, এব্রোথেব্রো ভাবে গরু ও গাড়ি রাখা, আগত ক্রেতাদের তথ্য দান সহ নানা দিকে দৃষ্টি রাখতে হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অনেক ভলান্টিয়ার। রয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।

গাবতলী গরুর হাটের নিরাপত্তার দায়িত্ব বসানো হয়েছে র‍্যাবের একটি কন্ট্রোল রুম। রুমটির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ডিএডি) বেলায়েত হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি আজ সকাল ছয়টা থেকে ডিউটিতে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের এখানে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন আছে, আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আমাদের টহল টিম মাঝেমধ্যেই হাটের ভেতরে টহল দিচ্ছে।’