খোলাবাজার২৪.শনিবার ১৮ আগস্ট ,২০১৮ঃ চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) চেয়ে এবার লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এছাড়া আগস্টে ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ, অক্টোবরে ৮০ কোটি ৬২ লাখ, নভেম্বরে ১১১ কোটি ৫ লাখ ও ডিসেম্বরে ১১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য রয়েছে এনবিআরের। আর অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে জানুয়ারিতে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ, মার্চে ১০২ কোটি ১৪ লাখ, এপ্রিলে ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ, মে মাসে ৫১ কোটি ৮৪ লাখ ও জুনে ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮১ কোটি ৮ লাখ টাকা। গত ২ জুলাই এক আদেশে তা সংশোধন করে ৮০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করে এনবিআর। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এবার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এদিকে লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও রাজস্ব আহরণে অর্থবছরের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছে। গত মাসে ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম মাসেই ঘাটতি রয়ে গেছে ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা থাকায় এ রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আগামীতে রাজস্বের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করেন তারা।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার সাগর সেন বলেন, জুলাইয়ে কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেলেও আগামীতে রাজস্ব আহরণ বেড়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা যায়। শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছর ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কমানো হলেও তা অর্জন হয়নি। ৮০৭ কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৭৯৩ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ঘাটতি রয়ে যায় ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।