Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলাবাজার২৪. শুক্রবার ,০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ : বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এখনো সমাবেশের অনুমতি পাননি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ৩টায় ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে সমাবেশ আহ্বান করেছেন তিনি। আর এ সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে (ডিএমপি) আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখনো তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি।

বিষয়টি স্বীকার করে নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমিন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি (মন্ত্রী) দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে কথা বলে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি নাগরিক ঐক্যকে অবহিত করা হবে। কিন্তু আমরা যতটুকু জানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশেই আছেন। বুধবার দুপুরে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অনুমতি না মিললেও সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অনড় ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার রাতে মতিঝিলে নিজের চেম্বারে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন। এখনো সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ড. কামাল হোসেন।

আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে অনুমতি না পেলে প্রয়োজনে তিনি নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে নেতাদের জানান। অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদসহ নাগরিক ঐক্য এবং গণফোরামের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ড. কমাল হোসেন এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হবে? এই দেশ জনগণের। এটি একটি জনগণের রাষ্ট্র। জনগণ তার কথা বলবে, সভা-সমাবেশ করবে, সরকার বাধা দেয়ার কে? তারা অনুমতি দেয়ারই বা কে? আমরা আমাদের সমাবেশ করব। বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়ব। এ কারণে আমাকে জেলে নিতে চাইলে, জেলে যাব।

জানা গেছে, সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এবং এ দাবি আদায়ে সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আহ্বান করেন ড. কামাল হোসেন।

পরে তিনি এটাকে নাগরিক সমাবেশ বলে অভিহিত করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ সমাবেশের মাধ্যমে বিশাল শোডাউন করতে চান প্রবীণ এই আইনজীবী। সমাবেশ থেকে সরকারকে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হবে। এজন্য হস্তক্ষেপ কামনা করা হবে রাষ্ট্রপতির।