Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার, ১১সেপ্টেম্বর, ২০১৮ঃ ঢাকার ডেমড়ায় অবস্থিত সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রাইমারী বিভাগের শিক্ষয়ত্রী মিস-সোমা আক্তারকে এলাকার দূর্বৃত্তরা গত ২৬/১০/১৭ইং তারিখ রাতে অপহরণ ও গণধর্ষনের পর শ্বাসরুদ্ধ হত্যা করে এবং প্রকৃত অপরাধীর সাজানো স্বাক্ষীর উপর ভিত্তি করে মাদক বিরোধী আন্দোলন নেত্রীত্বদানকারী ৪ জন নীরিহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। হত্যার মাস্টারমাইন্ড এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সংসদ সদস্যের ও মাদক ব্যবসায়ী পুত্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে ঐ রাতে মুখোশধারী দূর্বৃত্তরা ভিকটিমকে ডগাইর ওয়াপদা রোডে অপহরণ ও বেড়ীবাদ নির্জন এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করে।

এই হত্যার সূত্রপাত হিসাবে আরও জানা যায় যে, একটি মাদক বিরোধী সংগঠনের সদস্যরা এলাকার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের উৎসাহ উদ্দিপনায় মাদক ব্যবসায়ীদের সমাজ থেকে নির্মূলের জোর আন্দোলন চালাতে থাকে। যাহার ফলে এমপির মাদকাশক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী কুলাঙ্গার পুত্র বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্ত হতে থাকলে পর্যায় ক্রমে ক্রোধ ও শক্রতা বশত নিজের ব্যক্তিস্বার্থ সংগঠনের সদস্যদের ভয়ভীতির হুমকি ধামকি/বাধা দিতে থাকে। গত মে ২০১৭ইং সামসুল হক স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের উপস্থিতিতে মাদক সংক্রান্ত জটিল সমস্যাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য সংগঠনের সদস্যরা এমপিকে চাপ প্রয়োহ করাতে উভয়ের মধ্যে চরম মনোমালিন্য/বিরোধ সৃষ্টি হয়।

যাহার ফলে এমপির পুত্র প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে দূর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় মাদক বিরোধী সংগঠনের অফিসে গোপনে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রেখে সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আইনি মামলায় জড়িত করে। দূঃখজনক যে প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি ও এলাকার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে চক্রান্তকৃত মামলায় মুখ্য আসামী করা হলে তিনি বিষয়টি শুনারপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে ও পুলিশের হস্তক্ষেপে মানহানিকর পরিস্থিতিতে হার্টএ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন।সোমা আক্তার হত্যা ও মাদকদ্রব্য মামলার বিষয় ডেমড়া থানায় যোগাযোগ করে ঘটনার অভিযোগ সংক্রান্ত সত্যতা জানার চেষ্টা চালালে থানার ও/সি সাহেব এ বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য দিতে সর্ম্পূণ এড়িয়ে যান।

তবে মাদকদ্রব্য মামলার বিষয় অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা যায় যে-তিনি রাষ্ট্রবাদী এই মামলার অভিযোগটি আইনের আওতায় ও নিরপেক্ষ সুক্ষ্য তদন্তর পর উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমানে ৯জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করেছেন। যাহাদের মধ্যে ৪জন সামসুল হক স্কুল ও কলেজের শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত ১। নজরুল ইসলাম, ২। জাকির হোসেন, ৩। মৌসুমি আক্তার ৪। সোমা আক্তার ও এলাকার চেয়ারম্যান সহ সচেতন ব্যক্তি সদস্য ৫। নাসির উদ্দিন চেয়ারম্যান, ৬ সেফায়েত ইসলাম, ৭। আতিকুর রহমান, ৮। সীফাৎ হোসেন, ৯) সাইফুর রহমান। শিক্ষিকা সোমা হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিকতথ্য প্রকাশে সম্পূর্ণ অসম্মতি জানিয়ে বিষয়টি আইনের নজরদারীতে গোপনীয়তা রক্ষার দাবী করেন এবং বিচার চলাকালীন পর্যায় রহস্যের বিস্তারিত প্রকাশিত হবে বলে অবগত করে। তবে এই মামলায় মাদক বিরোধী আন্দোলন সংগঠনের ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মোট ৪ জনকে সন্দেহভাজন জড়িত করে গত ৩০/০৮/১৮ইং তারিখ আদালতে অভিযোগ প্রতিবেদন পেশ করা হয়।