খোলা বাজার ২৪. বৃহস্পতবার ,১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮: লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড : রংপুর জেলাধীন তারাগঞ্জ উপজেলার দামোদর পুর মামুন পাড়ার ইদ্রিস আলী সরকার(৫৫) পূর্বের পারিবারিক ঝগড়ার সূত্র ধরে ষড়যন্ত্রমুলক মাছ চুরির মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিবাদী পক্ষের লোকজন। সেই মর্মে বিবাদী পক্ষ মামলার সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নিমিত্তে সাংবাদিক সহযোগীতা কামনা করেন।
পরে চ্যানেল সিক্স বাংলা টিভিসহ কয়েকটি পত্রিকার একটি সাংবাদিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর পরিদর্শন পূর্বক বাদী-বিবাদী ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন ঘটনা কিছুই না পারিবারিক ঝগড়া মাত্র।
বিবাদী পক্ষের ভাষ্য ও সরেজমিনে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখা যায় পুকুরে বাদী পক্ষের জমির পরিমান হবে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ শতাংশ। অথচ মামলা সূত্র মতে,১৫ শতাংশ জমির পুকুর-যেখান থেকে ২০ মন মাছ রাতের অন্ধকারে চুরির কথা উল্লেক্ষ আছে। যা কোন ভাবেই সত্য বলে বিবেচিত হওয়ার মত নয়।
এছাড়া দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সমেত মারপিটের কথা এজাহারে বলা থাকলেও প্রমাণ মেলেনি কোন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সনদ বা তাদের শারীরিক কোন চিহ্ন।
২৯/০৮/২০১৮ইং তারিখে হওয়া মামলার ৬নং আসামী হাফেজ মোঃ খাদেমুল ইসলাম সরকার(৩৫) বলেন-ঝগড়ার দিন তিনি বাড়ীতেই ছিলেন না।
এছাড়া বাদীর বড় ছেলের স্ত্রী মোছাঃ আদুরী বেগম(২৫) এর উপর আক্রমনের কথা মামলায় উল্লেক্ষ, কিন্তু তিনি তার বাবার বাড়ীতে ছিলেন ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
বিবাদী পক্ষের গোপন সূত্রে ভিডিও চিত্রের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে ঝগড়ার ৪দিন আগে বাদী পক্ষ নিজেরাই মাছ উত্তলন করে বিক্রি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে-
বাদী পক্ষ পারিবারিক জমি জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিন থেকেই বিবাদী পক্ষকে নানা রকম মামলা ও সাধারন ডায়েরীর মাধ্যমে হয়রানি ও বিভিন্ন রকম আক্রমনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাদী পক্ষ তাদের বাড়ীর ধারে অতিবাহিত রাস্তা দিয়ে বিবাদী পক্ষের লোকজনের চলাচলে আক্রমনের চেষ্টা করেন বলেও বিবাদী পক্ষ অভিযোগ করেন। যার প্রমান স্বরুপ-বিবাদী পক্ষের পার্শ্ববর্তী জমিতে যাওয়ার রাস্তা বাদী পক্ষের জমি হওয়ায় তারা নানা রকম বাধার সৃষ্টি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও বিবাদী পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেন।
তাই আইন সৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে বিবাদী পক্ষের দাবী – ঘটনার সত্যতা যাচাই ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারী বাদীর মিথ্যে মামলার হয়রানি থেকে তাদের রেহাই দেওয়া হউক।