Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খোলা বাজার ২৪. শুক্রবার ,১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮:  রাজধানীর বাজারে সবজির দর বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ বাজারে সবজি বেশ সস্তা ছিল। এখন বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৪০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কেজিপ্রতি বাড়তি দর ১০ থেকে ২০ টাকা। অবশ্য নতুন আসা শিমের দর আরও চড়া, প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা।

সবজি ছাড়া বাজারে অন্য পণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। ইলিশের সরবরাহ বাড়লে মাছের দাম কমবে বলে আশা করা হয়েছিল, যদিও সে আশা পূরণ হয়নি।

রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। সবজিগুলো বেশ তাজা। বিক্রেতারা জানান, ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে যেসব সবজি আসে, সেগুলো বনানী বাজারে বিক্রি হয়। ওই বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ৬০-৭০ টাকা, দেশি শসা ৬০-৭০ টাকা, শিম ১২০-১৩০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৫০ টাকা চান বিক্রেতারা।

ঢাকার কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে এসব সবজির দর ৪০-৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, গত সপ্তাহে চিচিঙ্গা ২০-২৫ টাকা ছিল, এখন সেটা ৪০ টাকা। ৩৫ টাকার শসা এখন ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না। কাঁচা পেঁপে ১৫ টাকাও বিক্রি হয়েছে, এখন সেটা ২৫-৩০ টাকা। তিনি বলেন, এখন চাষিরা বর্ষার সবজির গাছ তুলে ফেলে শীতের সবজি আবাদের প্রস্তুতি নেবেন। এতে সবজির সরবরাহ কমবে এবং দাম বাড়তি থাকবে।

বাজারে গতকাল দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, দেশি কিং নামের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়, যা আগের সপ্তাহে মোটামুটি একই ছিল। কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানে আদার দর কিছুটা কমেছে। সেখানে প্রতি কেজি চীনা আদা ১১০-১২০ টাকা ও মিয়ানমারের আদা ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য খুচরা বাজারে আদার দর আগের মতোই।

বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশ ভালো, তবে দাম তেমন একটা কমেনি। ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিটি ৫৫০-৬০০ টাকা এবং ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিটি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজন হলে ইলিশের দর যেন আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি চাওয়া হচ্ছে কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, গত বছর এ সময়ে ইলিশের দাম অনেক কম ছিল। এবার তেমন একটা কমেনি। এতে মাছের বাজারে স্বস্তি আসেনি।