খোলা বাজার ২৪. রবিবার ,১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮: ঢাকায় বসবাসরত পটুয়াখালী জেলাবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পটুযাখালী উৎসব ২০১৮। ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেসকাবে এই মিলনমেলার আয়োজন করে পটুয়াখালী জার্নালিস্টস ফোরাম (পিজেএফ), ঢাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিজেএফ সভাপতি হাসান আরেফিন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরলাল রায় সাগরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী উৎসবের উদ্বোধক সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, শিল্পপতি আজমাত গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. আতহার উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট কাজল বরণ দাস, পিজেএফ সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম রানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক রুহুল আমিন রাসেল। কোর আন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিএফইউজের প্রয়াত সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য প্রিয় কাগজ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তালুদারের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। এর আগে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন ড. মো. আতহার উদ্দিন।
এসময় সংগঠনের প্রকাশিত ‘উৎসব’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় ‘পায়রা বন্দর ও সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার। পটুয়াখালী জার্নালিস্টস ফোরাম-পিজেএফ, ঢাকা ও পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন পিজেএফ সভাপতি হাসান আরেফিন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল মাতলুব আহমাদ এবং আজমাত গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আতহার উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃয়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সহ-সভাপতি খন্দকার ফরহাদ জামান বাদল।
সন্ধ্যার পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জমকালো পটুয়াখালী উৎসবে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত পটুয়াখালী জেলার রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা পরিবারসহ অংশ নেন।