খোলা বাজার ২৪. বুধবার ,১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮: মোঃরাসেল মিয়াঃ নরসিংদী পপ্রতিনিধিঃ গত ১৪সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের চৈতন্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ও ব্যবসায়ী পরে স্থনিয়দের মধ্যকার ওই সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছিলেন।
নরসিংদীজেলার শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত মোহন মিয়া (৩৮) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মোহন মিয়া চৈতন্যা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। শিবপুর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ আহত মোহনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈতন্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টর মহাসড়কে উঠলে হাইওয়ে পুলিশ তা আটক করে। পরে সেটি মহাসড়কের পাশে রাখতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। এ সময় পুলিশ ট্রাক্টরটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে চালককে তাড়া দিচ্ছিল। এ নিয়ে ট্রাক্টরের চালকের সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে স্থানীয়দের তোপের মুখে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে হাইওয়ে পুলিশের আরেকটি দল চৈতন্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে মহাসড়কের পাশে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশ সদস্যরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড়সহ লাঠিপেটা শুরু করে।
স্থানীয়রা পুলিশের ওই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে প্রথমে কথা-কাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে স্থানীয় ওহিদুল্লাহ ও মোহন আহত হন। আহতদের প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মোহন মিয়া মারা যান।
ওসি আবুল কালাম আজাদ খোলাবাজারকে বলেন, ‘ট্রাক্টর আটকের ঘটনা নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোহন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে মারা গেছেন। লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।