খোলা বাজার ২৪. বুধবার ,১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮: মোঃরাসেল মিয়াঃ নরসিংদী পপ্রতিনিধিঃ নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা মাসিক সমন্বয় পরিষদের সভায় উপস্থিত না হওয়ার কারণে সভা মুলতবি হওয়া এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইউপি চেয়ারম্যানরা এমপিকে লাল কার্ড প্রদর্শন শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় উপজেলার ৯ ইউপি চেয়ারম্যানদের শোকজ করা হয়েছে।
রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীলু রায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে এই শোকজ করেন।
এদিকে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবী করে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপজেলা মাসিক সমন্বয় পরিষদের সভা উপজেলা পরিষদের মাসিক কাজের একটি অংশ। ওই সভার সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আর সভা আহ্বান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে পদাধিকার বলে এই সভার উপদেষ্টা। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন না। এই সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। কোরাম পূর্ণ না হয়ায় সভার সভাপতি সভাটি মুলতবি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এখানে আমার সম্পৃক্ততা কোথায়? প্রচার করা হয়েছে- আমি উপস্থিত থাকায় নাকি চেয়ারম্যানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রচার করিয়েছেন।’
সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আরও বলেন, ‘বাস্তবিক অর্থে ওই দিনের সভায় আমার উপস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ অনির্ধারিত। তাহলে চেয়ারম্যানরা কিভাবে আমার উপস্থিতির কারণে সভায় আসেননি বলে প্রচার করা হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। আর শিবপুর উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বরাবরই আমার সুসম্পর্ক। ’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীলু রায় এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত তারিখে মাসিক উপজেলা সমন্বয় পরিষদের সভায় উপস্থিত না হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে সব চেয়ারম্যানদের শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব দিতে চেয়ারম্যানদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে সবার কাছ থেকে জবাব ও পাওয়া গেছে। তাদের জবাবে কেউ কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছে, আবার কয়েক জন সেদিন জরুরি কাজে শিবপুরের বাহিরে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।’
তিনি আর বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের সকল জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ। এমপি কিংবা ইউপি চেয়ারম্যানরা তার বাহিরে নন। এ ধরণের মিথ্যা সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় শিবপুর উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই জেলার অভিভাবক জেলা প্রশাসকের নির্দেশেই আমরা ইউপি চেয়ারম্যানদের লিখিত জবাব চেয়ে এই শোকজ করি।