Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪. বুধবার ,১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ’রাজনৈতিক মান-অভিমান’ ভাঙাতে কোন উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে মান-অভিমানের কিছু নেই, এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও আইনের প্রশ্ন। দেশের মানুষকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে পেরেছি সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এখানে কে মান-অভিমান করলো, কার মান ভাঙাতে যাব- সেটা আমি জানি না। তবে সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমাণিত হয়ে ফিরে আসতে হয়, সেখানে আর যাবার কোন ইচ্ছা আমার নেই। 

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনরুল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, বিভ্রান্তিমূলক বা উস্কানীমূলক পোস্ট, ভিডিও প্রচারকারীকে সনাক্ত করার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল গঠনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল যাতে গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘিœত করতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম এবং সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের পৃথক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রশ্ন করতে গিয়ে জাপার সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, একটা পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেয়ার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে, যার রূপকার অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে কারোর মনে কোন প্রশ্ন নেই। তবে দেশে যে রাজনৈতিক মান-অভিমান চলছে, বাড়তে থাকা দূরতে ক্ষোভের পাহাড় জমছে। রাজনৈতিক এই সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুর চেয়ে কম গুরুত্ব নয়। এটা ভাঙাতে প্রধানমন্ত্রী কোন উদ্যোগ নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মান-অভিমানের বিষয়টি কোথায় থেকে এলো জানি না। এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন। আইনের প্রশ্ন। 

কেউ যদি দুর্নীতি করে, এতিমের টাকা চুরি করে, মানুষ খুন করে, খুন করার চেষ্টা চালায়, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে তার বিচার হবে- এটাইতো স্বাভাবিক। রাজনীতি সবাই করে যার যার আদর্শ নিয়ে। আর আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি বলেই দেশটাকে উন্নত করতে পেরেছি। দেশের মানুষকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। 

এখানে কে মান-অভিমান করলো, কার মান ভাঙাতে যাব- সেটা আমি জানি না। এ প্রসঙ্গে সংসদ নেতা আরও বলেন, দেশটা আমাদের কারও একার নয়। দেশটা আমাদের সকলের। আর দেশ ও জনগণের কল্যাণ করাই একজন রাজনীতিবিদের প্রধান দায়িত্ব। আর আমরা রাজনীতি করি নিজেদের স্বার্থে নয়, নিজেদের লাভ-লোকসানের জন্য নয়। আমরা দেখি জনগণের কল্যাণ, জনগণের স্বার্থ। নিঃস্বার্থভাবে ও দেশের মানুষকে ভালবেসে কাজ করতে পেরেছি বলেই এতো অল্প সময়ে দেশের এতো উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। অতীতে তো অনেক সরকারই ক্ষমতা ছিল। এতো অল্প সময়ে দেশের এতো উন্নয়ন কে করতে পেরেছে? কেউ পারেনি। কারণ তারা জনগণের স্বার্থের বদলে নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থ দেখেছে। তাদের কাছে ব্যক্তি স্বার্থ দেশের জনগেণের স্বার্থের চেয়ে বড় ছিল বলেই পারেনি।