খোলা বাজার ২৪.রবিবার,২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮: ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বখাটের উৎপাতে সুখী আক্তার (১৪) নামের মেধাবী এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত দুই দিন যাবৎ আমুয়া উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করছেন। উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় সরদার বাড়িতে ২০শে সেপ্টেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটে। সুখীর আত্মহত্যার পরে বখাটে সাব্বির গা-ঢাকা দিয়েছে।
সুখীর বাবা আব্দুল হাই সরদার জানান, সুখী আমুয়া বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সে খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল, পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষায়ও সে ভালো রেজাল্ট করতো। সুখী স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমুয়া হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোসা. খাদিজা বেগমের বখাটে ছেলে আমুয়া বন্দর আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ প্রেম নিবেদনসহ প্রায়ই হাত ধরে টানাটানি করতো।
বিষয়টি আমিসহ পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে প্রথমে সাব্বিরের মা খাদিজাকে, পরে তার কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস তালুকদার এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানানো হলেও সাব্বির থামেনি।
সর্বশেষ ১৮ই সেপ্টেম্বর সুখী জেএসসি পরীক্ষার কোচিং করতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাব্বির সুখীকে টেনে হেঁচড়ে হাসপাতাল কোয়ার্টারের ছাদে তোলে। এ ঘটনা সুখীর বড় ভাই রাকিব ও ভগ্নিপতি মো. নাসির উদ্দিন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুখীকে বাসায় নিয়ে আসে। ওই দিন সাব্বিরের মা ও বড় ভাই রাব্বি সুখীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে উল্টো শাসিয়ে আসেন এবং বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি উল্টিয়ে জানাজানি করেন।
ফলে লোক লজ্জা ও ঘৃণায় ২০শে সেপ্টেম্বর সুখী তার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা নথি ভুক্ত করা হয়েছে।