খোলা বাজার ২৪.রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার বেলা ২টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভার কার্য্ক্রম শুরু হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বানানো ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট মাপের মঞ্চের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে লেখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম। মঞ্চে তার জন্য একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদার মুক্তির শর্তও ররেছে বিএনপির।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল বিএনপি। ওই সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও বক্তব্য দিয়েছিলেন।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, “আমাদের নেত্রীকে সম্মান দেখানোর জন্য, তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন, নেতাকর্মীদের হৃদয়েই আছেন- সেটা বোঝাতেই আমরা প্রধান অতিথি হিসেবে তার নাম রেখেছি।”
মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কাউন্সিলসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন এ কর্মসূচিতে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আশা করছি, আজকে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে আমাদের এই জনসভা সাফল্যমণ্ডিত হবে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশ শনিবার ২২টি শর্তে বিএনপিকে এই জনসভা করার অনুমতি দেয়। এরপর রাতে সোহরাওয়ার্দীতে মঞ্চ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়।
সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চের সামনে ৩০ ফুট জায়গায় বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। উদ্যানের চারপাশে টানানো হয়েছে ১০০ মাইক। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কর্মীদের নিয়ে করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
মাঠের বিভিন্ন অংশে গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে তাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার টানানো হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিও রয়েছে এসব ব্যানারে।
রোববার বেলা ২টায় এই জনসভা শুরুর সময় নির্ধারিত থাকলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা উদ্যানে আসা শুরু করেন সকাল ১০টা থেকে। তাদের হাতেও নেতাদের ছবি ও দাবি সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
চড়া রোদ আর গরমের মধ্যে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সভামঞ্চে দেশাত্মবোধক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে লেখা গানও ছিল তার মধ্যে।
বেলা ২টার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল যেন জনসমুদ্রের রূপ পায়।
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরুর পর প্রথমে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান।
পুলিশের বেঁধে দেওয়া শর্তে বিকাল ৫টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে বলা হয়েছে বিএনপিকে।