Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৮:মোঃরাসেল মিয়াঃ নরসিংদী প্রতিনিধি : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সফল এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিবপুরে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, তৃনমূল রাজনীতির পথ বেয়ে তিনি এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সুপরিচিত নাম তাঁর।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন আর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের নিবেদিত প্রাণ আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূইয়া মোহন।নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সাংসদ বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় নেতা আবদুল মান্নান ভূইয়াকে পরাজিত করে আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূইয়া মোহন নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন তিনি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের করুন অবস্থায় শিবপুরের আওয়ামীলীগের হাল ধরেন মোহন। পরবর্তিতে তাকে ঘিরে সকল নেতা কর্মীরা পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তিনি শিবপুরে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে ও জনগনের পাশে থেকে এবং আওয়ামীলীগের দলীয় সব কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনগনের হৃদয়ে স্থান করে জনমতের শীর্ষ পর্যায়ে পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে গ্রাম পাড়া-মহল্লায় রাতদিন এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন । আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনসাধারনের কাছে তুলে ধরতে গ্রামে গ্রামে উঠোন বৈঠকেও মিলিত হচ্ছেন।

নৌকা মার্কায় নির্বাচন করার অভিপ্রায় নিয়ে শিবপুরে গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে নিরন্তর অভিরাম ভাবে ঘুরে বেরাচ্ছেন উপজেলার আনাচে কানাচে।দিন রাত জনগনের পাশে থেকে আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূইয়া মোহন বক্তব্য বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়েই আওয়ামী লীগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরোও বলেন আমি যদি আবার আপনাদের সেবক হওয়ার সুযোগ পাই তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কে সঙ্গে নিয়ে প্রথমেই এলাকা থেকে মাদক নির্মূল, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকলের জন্য একটি নিরাপদ জনপদ গড়ে তুলতে চাই। শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ খান বলেন, ‘স্থানীয় এমপি আওয়ামীলীগের কেউ না। তিনি বিএনপির সমর্থিত লোক ছিলেন।

তৃনমুল আওয়ামীলীগের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। দলের ক্ষতি করার জন্যই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। সাড়ে চার বছরের মধ্যে তিনি আওয়ামীলীগের কোন সভা সমাবেশে উপস্থিত হয়নি। স্থানীয় এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আওয়ামীলীগের আর্দশিক রাজনীতি করেন নি। তিনি জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্য। তা ছাড়া শিবপুরের জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমপির সাথে যারা আছেন তারা সুবিধাবাদী রাজনীতি করেন। ইউপি নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সরাসরি আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেন। শিবপুর আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে নৌকার প্রার্থী করা হলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জয়ী হবে। শিবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আজিজুর রহমান ভুলু বলেন, ‘জহিরুল হকের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সততা ও স্বচ্ছতা।

আগামী দিনে এটাই তাঁকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ তিনি জবানে এক, কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপি দশম সংসদ নির্বাচনে কালো টাকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রলুব্ধ করে বিজয়ী হয়েছিলেন। যে ব্যক্তি গত নির্বাচনে নৌকার তলা ফুটা করেছিলো, তাঁর কাছে নৌকা নিরাপদ নয়, যে কারণে বিগত নির্বাচনেও জননেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবারও আমি শতভাগ আশাবাদী।