খোলা বাজার ২৪,রবিবার , ০৭ অক্টোবর ২০১৮: ভোট কেন্দ্রগুলোর, ভোট বাক্সগুলোর, ব্যালট পেপারগুলোর এবং ভোটারগণের শারীরিক নিরাপত্তা প্রদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই, অন্যান্য পরিবেশগত নিরাপত্তা প্রদানও গুরুত্বপূর্ণ।একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনের আগে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহীনি মোতায়ন করতে হবে।
অতিতের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় যে নিরাপত্তা না থাকলে, ভোটার গণ ভোটদিতে পারবে না; পারলেও তাঁর ভোট গণা হবে না। এর উপর যুক্ত হয়েছে ইভিএম এর খড়গ। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেতে সক্ষম এইরুপ সরকার প্রয়োজন। এটা বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের অধিনেও সম্ভব।
৭ অক্টোবর রবিবার সকালবেলা, বারিধারা কূটনেতিক জোনের একটি অভিজাত হোটেলে একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এইরূপ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি কর্তৃক আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই সংগ্রাম করছে এবং আমাদের দল যেহেতু নির্বাচনমুখী দল সেহেতু নির্বাচনকালীন সময়ের সকল প্রকার নিরাপত্তা নিয়েই আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আগ্রহী।
উপযুক্ত নিরাপত্তা পেলে ভোটারগণ আগ্রহী হয়ে ভোট দিতে আসবেন বলে সকলে আশা ব্যক্ত করেন। অন্যতম বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। সাবেক জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ, আইটি বিশেষজ্ঞ শরীফ মাসুম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে ইলাহী আকবর, কর্ণেল মনিশ দেওয়ান, চৌহালী উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান অব. মেজর মামুন, কর্ণেল সৈয়দ কামারুজ্জামান, মেজর নুর ও মেজর শিবলী সহ সকল আলোচক, নির্বাচনের আগে আগেই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহীনি মোতায়নের গুরুত্বা তুলে ধরেন। কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবর্গ ও যুব কল্যাণ পার্টির নেতা কর্মী গণসহ উপস্থিত তরুণ প্রতিনিধিগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকায় অবস্থিত ইনেদানেশিয়া, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, যুক্তারাজ্যের দুতাবাসের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
সাইবার বিশেষজ্ঞ শরিফ মাসুম বলেন, সাম্প্রতিককালে সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্ব পূর্ন হয়ে উঠেছে। সরকারি দল হোক বা বিরোধী দল হোক, সকল রাজনৈতিক কর্মীর জন্যই এবং সকল সাধারণ মানুষের জন্য সাইবার নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটা একমাত্র সরকারই দিতে পারে। দেশের বাকি মানুষ বিশেষত আইটি বিশেষজ্ঞ এবং ভার্চুয়াল জগতের মিডিয়া কর্মীগণ এই সহযোগিতা দিতে পারে।