Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪, মঙ্গলবার ,০৯ অক্টোবর ২০১৮: ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি দ্বিগুণ হচ্ছে। বর্তমানের সর্বনিম্ন পাঁচ এমবিপিএস গতি যদিও সবখানে সমানভাবে মিলছে না।

ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণের এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন গতি ১২৮ কেবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ হিসেবে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ এমবিপিএস গতি না হলে সেটি ব্রডব্যান্ড বলে চিহ্নিত হবে না।

খুব শিগগির এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র। ১ আগস্ট গণভবনে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সরকার ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি বাড়িয়ে পাঁচ এমবিপিএস নির্ধারণ করে। তবে এখনও খুব কম জায়গায়ই ব্রডব্যান্ড হিসেবে সর্বনিম্ন এ গতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড হতে হলে ইন্টারনেটের গতি ১২৮ কেবিপিএস ঠিক করে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে করা হয় ২৫৬ কেবিপিএস এবং পরে তা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫১২ কেবিপিএস করা হয়।

২০১৩ সালে এ গতি নির্ধারণ করা হয় এক এমবিপিএস। তবে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, এখনও তারা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা অন্য জায়গায় ইন্টারনেট গ্রাহকের তথ্য হিসাবের ক্ষেত্রে ৫১২ কেবিপিএস গতিকে ভিত্তি করে ধরে ব্রডব্যান্ড সংযোগ হিসাব করেন। কেননা সর্বনিম্ন গতির পরিমাপে যদি গ্রাহকের তথ্য প্রদান করা হয় তাহলে আন্তর্জাতিক রেটিংয়ে দেশ অনেক পিছিয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা সর্বনিম্ন গতির বিবেচনা অনুযায়ী ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনাকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তারা অবশ্য এ গতি নিশ্চিত করতেও পদক্ষেপ নিতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।