Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,  শুক্রবার, ১২অক্টবর ২০১৮ঃ ফেনী সংবাদদাতাঃ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেন যে-গত ৩১শে অক্টোবর ২০১৭ইং সালে বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার রোহিঙ্গা সরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন কেন্দ্র করে ফেনী মহিপালে গাড়ীবহরে দূর্বৃত্তদের হামলায় যানবাহন বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগ মামলায় রাষ্ট্র বাদী গত ৯/১০/১৮ইং তারিখ বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে মোট ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

যাহার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগপত্রটিকে সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রকৃত আক্ষায়িত করে রাষ্ট্র পক্ষের বিরুদ্ধে আদালত কক্ষে আইনজীবি পরিষোধ সদস্য কঠোর সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানায়। এমনকি সেরেস্তাদার আদালতের টেবিলে অভিযোগপত্র উপস্থাপনের সময় আইনজীবি সদস্যরা সম্মেলীত উচ্চকন্ঠে সরকার বিরোধী আদালত অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকে।

যাহার ফলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব এইরুপ উত্তেজনাকর অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে তিনি দ্রুত এজলাশ ত্যাগকরেন এবং সরকার সমর্থীত আইনজীবিরা প্রতিবাদের বিরোধীতা করার চেষ্টা চালালে চরম কোনঠাষা অবস্থায় সেখান থেকে একরখম পালিয়ে যায়। এইরুপ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব সেই প্রহরে প্রকাশ্য আদালতে অভিযোগপত্রটি গ্রহন নাকরে দ্বীপ্রহরে নিজের কামরায় নজরদারী ও অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আইন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনকরেন।

আমাদের প্রতিনিধ আরও নিশ্চিত করেন এই মামলায় প্রতিপক্ষ বিএনপি ও আওয়ামীলীগ ঘটনারদিন একে অপরকে বিভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে দোষারপ করছে এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও ঘটনাটির পক্ষপাতিত্ব করে অভিযোগের দায়ভার সর্ম্পূন বিএনপির উপর চাপিয়ে দেন। যাহার ফলে বাদী রাষ্ট্র পক্ষ মামলার মুখ্য অভিযোগটি যদিও প্রাথমিক পর্যায় অপরাধচিত্রের সাথে আসামীদের সম্পৃক্ততা বজায় রেখে এজাহার ও এফ.আই.আরে লিপিবদ্ধ করেছিল কিন্তু পরবর্তিতে আই/ও দীর্ঘ তদন্ত পরিচালনার পর ৩৩জন আসামীকে বিভিন্ন ভাবে দোষী চিহ্নিতকরে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

প্রতিবাদী আইনজীবি মহল দাবী করেন যে-এই মামলায় ২৫জন সর্ম্পূন নিদোর্ষীকে সরকারী ষড়যন্ত্রে পরিকল্পিতভাবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে এবং তদন্তকৃত প্রতিবেদনে এজাহার বর্নিত অভিযোগের সাথে বাস্তবতার কোন ধারাবাহিক মিল প্রতিয়মান হয় নাই। এমনকি যে সকল আসামীরা ঐ ঘটনায় চলমান সরকারী দলীয় হামলা/মামলা ইত্যাদির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জীবন বাচানোর জন্য নিজ এলাকা ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে আতগোপন রয়েছে, আই/ও তাহাদেরকেও সুপরিকল্পিতভাবে সরকারী নির্দেশনায় অভিযোগে অন্তর ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবাদী মহলের দাবী যে-সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে জনগনের মাঝে সর্ম্পূন কলঙ্কিত ও নিঃস্কৃয়/অবহেলিত করার লক্ষে আওয়ামীলীগ সুপরিকল্পিত এইরুপ অপর্কম দ্বারা প্রচারনার মাধ্যমে বিএনপির উপর দোষারূপ চাপাচ্ছে। যাহার কারনে আমাদের সংবাদদাতা সরকারী বিভিন্ন প্রতিকুল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা পাড়হয়ে অবশেষে ফেনী সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করে সকল অভিযুক্ত আসামীদের বিষয় জানতে পারেন যে-১লা নভেম্বর ১৭ইং তারিখ রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানা বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় মামলাটি রুজু করেন।যাহার এখতীয়ার ভুক্ত বিবরন মামলা নং-২(১০) ১৭,জি.আর.নং-১২১৭/১৭,তাং-১/১১/১৭ইং এবং এজাহার ভুক্ত ৯জন আসামী যথা-১। মোঃ জসিম উদ্দিন,পিং-মৃত আলাউদ্দিন,২।কামরুজ্জামান শিমুল,পিং-ওমোর খান পাটোয়ারী, ৩। মোঃ নুর আলম, পিং-মৃত সৈয়দ আহমেদ,৪। মাইনুল হক, পিং-আজগর মিয়া, ৫। আবু তাহের, পিং-জহিরুল ইসলাম, ৬। নুরুল হাসান, পিং-জাফর উল্লাহ, ৭।নিজাম ভুইয়া,পিং-আবুল কালাম,৮।সাইফুল পাটোয়ারী,পিং-জসিম পাটোয়ারী,৯। মোঃশামিম,পিং-মোঃ হাবিবুর।

অতপর আই/ ওদীর্ঘতদন্তেরপর এজাহার ভুক্ত ৯জনের মধ্যে ৬জনকে উচ্চ মহলের সুপারিশে অভিযোগথেকে নিদোর্ষ মুক্তিদিয়ে বিএনপি ও জামায়েতের ৩০জন নেতাকর্মি/ সমর্থকে সরকারী নিদের্শনায় অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। সংবাদ প্রতিনিধি সরকারী বিভিন্ন মহলে এই বিষয় জানারজন্য প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু প্রশাসন রাষ্ট্র পক্ষ সরকারী নির্দেশনায় মামলার সর্বকদি বিশেষ গোপনিয়তার লক্ষে প্রচার মাধ্যমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করছে। অতপর আদালতের আইনজীবি মহলের সহযোগীতায় জানাযায় যে-মামলা থেকে রেহাইপ্রাপ্ত ৬জন যথা ১। মোঃ জসিম উদ্দিন, ৪। মাইনুল হক, ৫।আবু তাহের,৬।নুরুল হাসান,৭। নিজাম ভুইয়া, ৯। মোঃ শামিম, প্রকৃত আসামীরা আওয়ামী কর্মি হওয়াতে দলীয় নির্দেশনায় তাহারা নিঃস্কৃতিলাভ করে বর্তমানে সর্ম্পুন গাঢাকা দিয়েছে।উপরন্ত আইনজীবি পরিষদের একটি লিষ্ট অনুসারে জানাযায় যে-এই মামলায় অর্ন্তভুক্ত ৩৩ জনের মধ্যে ২৫জন অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার বাদী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকৃত গায়েবী মামলায় জরিয়ে আইন প্রশাসনেরথেকে রেহাইপেতে পলাতক আছে। যাহার মধ্যে ফেনী সদর মডেল থানার ২জন হাজতী১। আজিম উদ্দিন সাবু,পিং-মৃত নজু মিয়া,২।মোঃ রোকন,পিং-জামাল মাষ্টার,পলাতক ৫জন ৩। মোঃ লাইক আলী,পিং-মৃত মোঃ লিয়াকত আলী, ৪। সিকান্দার বক্স, পিং-মৃত রমিজ উদ্দিন বক্স, ৫। জাকির ভুইঁয়া, ৬। আবুল হাসনাথ, পিং-আবুল কাসেম, ৭। বোরহান উদ্দিন,পিং-নরে আলোম,ছাগলনাইয়া থানার ৩জন হাজতী ৮। মোঃ নুর উদ্দিন,পিং-মৃত আলাউদ্দিন, ৯। মোঃ কায়সার, পিং-প্রফেসর মোঃ ইব্রাহিম,১০। রিয়াজুল ইসলাম,পিং-সরিাজুল মুন্সি,পলাতক ৬জন ১১। হাসান ভুইঁয়া, পিং-মফিজ উদ্দিন ভুইঁয়া, ১২। সাজ্জাদ খাদেম, পিং-রবিউল খাদেম, ১৩।আবু মঈন,পিং-মৃত শাহাবুদ্দিন, ১৪। রিজভী চৌধুরী,পিং-আনোয়ার চৌধুরী,১৫।মোঃআবুল হোসেন,পিং-তাজুল ইসলাম,১৬।মোঃসিহাব,পিং-মোঃফিরোজ মিয়া, দাগন ভুইঁয়া থানার৬জনপলাতক ১৭। মোঃফয়েজ আলী, পিং-মোঃ আলী, ১৮।রুবেল হাসান,পিং-আবুবক্কর মিয়া,১৯। মোঃ রিপনপিং-হাজী কলিম মিয়া,২০।নোমান শিকদার, পিং-হাকিম শিকদার, ২১।রমিজ পাটোয়ারী, পিং-গফুর পাটোয়ারী,২২।রাসেদুল কামাল,পিং-মোঃ মকবুল মিয়া, ফুলগাজী থানার ৫ জন পলাতক ২৩।সেখর মল্লিক,পিং-প্রদ্বিপ মল্লিক,২৪। রাইসুল হক,পিং-ফরিদ হোসেন,২৫। জামাল খন্দকার,পিং-তৈয়ব খন্দকার,২৬। সেলীম ভুইঁয়া,পিং-মৃত হাতিম ভুইঁয়া,২৭।রেজা করিম,পিং-আব্দুল লতিফ,পরশুরাম থানার ৩জন পলাতক ২৮।নাইমুল ইসলাম রাতুল,পিং-রবিউল ইসলাম, ২৯। মোঃ সাব্বির সায়েক,পিং-মোঃ মুক্তার আলী,৩০। মোঃ সালমান সাজু,পিং-মোঃ মুসা কবির।

অনুসন্ধানে জানাযায় যে-পলাতক মোট ২৫জন আসামীর মধ্যে ৩জনকে আইন রক্ষাকারি ফোর্স বিভিন্ন স্থান/সময় গ্রেফতার ও ঘটনাস্থলে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। প্রতিনিধি এবিষয় থানা বা আদালতের মাধ্যমে কোন সত্যতা জানতে পারে নাই তবে ভিকটিম ১। বোরহান উদ্দিন,২।মোঃ সিহাব, ৩। রাইসুল হকের পরিবারের সাথে যোগাযোগে এইমর্মান্তি হত্যার সত্যতা স্বীকার করেন কিন্তু মৃতদেহ প্রাপ্তের কোন সঠিক তথ্যাদি আদৌ জানেনা বা কর্তৃপক্ষ এই বিষয় কোন সত্যতা পরিবারবর্গকে জানায়নি।তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর এলাকাবাসিরা নিশ্চিীতযে তাহাদের ৩জনকে রাতের অন্ধকারে নিরিবিলি স্থানে ক্রসফায়ারে হত্যা করে সন্ত্রাস দমন আইনে বিষয় গুলী ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে এবং আইন প্রশাসন ভিকটিমদেরপরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতকর হুমকি ও চাপের উপর রেখেছে।আমাদের প্রতিনিধি তদন্ত মোতাবেক নিশ্চিতহয়ে আরও অবহিত করেন যে-রাষ্ট্রপক্ষ আওয়ামীলীগ সামনে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গত ২০১৪ইং সালে নির্বাচনের মতন এবারও ক্ষমতা অক্ষুন্য রাখার লক্ষে নিজেদের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত করার সকল সম্ভব্য প্রচেষ্ঠায় বিরোধীদলের উপর বর্বরচীত নির্যাতন হামলা/মামলা ও ইত্যাদি মনগড়া প্রচারনা অব্যহত রেখেছেন।

এমনকি বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে জানাযায় যে-বিগত ২০১৩ সাল থেকে অদ্যবদি এই সকল অনৈতীক ষড়যন্ত্রকৃত মামলা গুলী সরকারী পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্রীয় কোন গেজেট বিহিন সর্ম্পূন গোপনে/ আড়ালে দ্রুত একতরফা বিচারিক কার্যক্রম সমাপন করে বিবাদী পক্ষকে সার্বিক ভাবে ঘায়েল করে যাচ্ছে। যাহার ফলে এই সকল চলমান বর্বরতা দৃষ্টিপাতে দেশের গনতান্ত্রিক চেতনায় জনগনের মনে বিপুলভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে যে-আসলেইকি আমরা স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশের জনগন?