Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,বুধবার .১৭ অক্টোবর ২০১৮ঃ কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সাজানো মিথ্যা ট্রাষ্ট মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না করেই সরকারের হুকুমে নিম্ন আদালত আরেকটি ফরমায়েসী রায়ের দিন ধার্য করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, এ মামলার রায় ধার্য সম্পূর্ণরূপে বেআইনী ও নিম্ন আদালতে সরকারের কর্তৃত্ত্ব প্রতিষ্ঠার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। অসুস্থ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য চলার বিধান পৃথিবীর দেশগুলোতে নেই। বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বেআইনী খারাপ নজীর সৃষ্টিকারী সরকার। তারা জিঘাংসার নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন, এটিও তার একটি।

রিজভী আহমেদ বলেন, বন্দুকের জোরে দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে ও পদত্যাগ করতে বাধ্য করা এবং বিচারক মোতাহার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার নজীর সারা দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তেমনি অসুস্থতাজনিত কারণে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে রায় দেয়া হলে তাও হবে পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন ঘটনা। এই রায় হতে যাচ্ছে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকা প্রতিহিংসা পূরণের চাঞ্চল্যে।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দিতে এবং মানুষকে বোবা বানিয়ে দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের পর এবার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার নামে আরেকটি ভয়ঙ্কর আইন করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বৈরাচারী এই সরকার মানুষের ভোটের অধিকার ছিনতাই করে গুম-খুন-বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং গায়েবী মামলা, কবরে শায়িত লাশের বিরুদ্ধে মামলা, হাসপাতালে শায়িত অশীতিপর বৃদ্ধ ও পবিত্র হজ্ব পালনরত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলায় বাছ-বিচারহীন গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশটাকে নৈরাজ্যে ভরিয়ে দিয়েও তারা স্বস্তি পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও ভয়াবহ দুঃশাসন ও মহা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রয়েছে সরকার। এই কারণে তারা সবসময় আতঙ্কে ভোগে যে, কোন সময়, কোন গণমাধ্যমে, কোন ফাঁকে তাদের মহা দুর্নীতির মহা কেলেঙ্কারীর খবর ফাঁস হয়ে পড়ে। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন-‘কিছু মিডিয়া ডকুমেন্টস তৈরী করে বসে আছে আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার জন্য।’ সরকার যদি এতই স্বচ্ছ হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্ত ডকুমেন্টের জন্য এতো শঙ্কিত কেন ? দুর্নীতির খবর চেপে রেখে নিজেদেরকে নিরাপদ করার জন্যই কি মিডিয়ার মুখ বন্ধ করতে একের পর এক ভয়ংকর কালো আইন করে যাচ্ছে সরকার।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ২০ দলীয় জোট ভাঙছে না, এক আছে। কিছু নেতা লাভবান হতে বেঈমানী করছে। ব্যক্তিস্বার্থে দু'একজন চলে গেলে ২০ দলে তার কোন প্রভাব পড়বে না।