খোলাবাজার২৪বৃহস্পতিবার.১৮ অক্টোবর ২০১৮ঃ আলোচিত ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের কোনো একটি পক্ষই নাটের গুরু।এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ।
তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা জড়িত নয়। তাই রায় বাতিল করে পুন:তদন্ত করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিশ্চিহ্ন করার রায় ২১শে আগষ্টের রায়। এই নিশ্চিহ্ন প্রক্রিয়ার অন্যতম টার্গেট বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। কোনো রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম অগ্রনায়ক তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেয়া হয়েছে।
রিজভীর অভিযোগ, শেখ হাসিনা এই রায়ের মাধ্যমে মূল দু’টি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন-
১। শেখ হাসিনার শাসনামলে চারিদিকে যে নৈরাশ্যের ছবি মানুষ অবলোকন করছে সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরানো
এবং
২। তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে জিয়া পরিবারকে হেয় করা।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, মঈন-ফখরুদ্দিন গংদের সহায়তায় ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে বের করে দেয়া, বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার নাম মুছে ফেলা, হত্যার উদ্দেশ্যে কাওরান বাজারে বেগম জিয়ার গাড়ীবহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আক্রমণ, বালির ট্রাক দিয়ে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় ও তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখা, একের পর এক সাজানো মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা, সবই করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য।
রিজভীর অভিযোগ, পুলিশকে কোনো কিছু না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশ অকস্মাৎ তাদের দলীয় অফিসের সামনে নেয়া হলো কেন? অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে রায়ে সাজা দেয়া হলো। তারা সমাবেশের ভেন্যু সম্পর্কে পূর্বে ওয়াকিবহাল না হলে নিরাপত্তা দিবে কিভাবে ?
২১শে আগষ্ট হঠাৎ করে দুপুরে ভেন্যু পরিবর্তন খবর শোনার পরেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রচেষ্টা তারা করেছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার কোনো স্পেস রাখেনি। এসব কিছুতে প্রমাণ হয়-তাদেরই কোনো পক্ষ এই ঘটনার নাটের গুরু।