খোলাবাজার২৪ শুক্রবার ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ঃ পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর জেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হারাতে বসেছে তার যৌবন। এই জেলায় দীর্ঘদিন দলের কোন নেতাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না করার কারনে দলের নেতা-কর্মীদের মাজে বি-রুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর -১ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী চান।
পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসনে ৪ দলীয় জোট ও ২০ দলীয় জোটের কারনে বিএনপি বারবার পিরোজপুর সদর -১ আসনে জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জামাত ইসলামীর প্রার্থী দিয়েছে।
পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসনে জামাতের রাজনৈতিক অবস্থান ছিল চতুর্থ স্থানে। প্রথম স্থানে ছিল বিএনপি, দ্বিতীয় স্থানে আওয়ামীলীগ, তৃতীয় স্থানে ছিল জাতীয় পার্টি, আর চার নাম্বারে ছিল জামাত।
পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসন থেকে বারবার শুধু মাত্র জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কারনে এবং জোটের সার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে তাকে পিরোজপুর বিএনপির উপরে চাপিয়ে দিয়েছিল জোট।
পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসন ও জেলার বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী দেশ ও দলের স্বার্থে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল।বর্তমানে পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসনের বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর এখন প্রানের দাবি যেহেতু এখন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নির্বাচন করতে পারবেনা তাই পিরোজপুর সদর -১ আসনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী দেয়া হোক।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবার যদি পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসনে বিএনপির প্রার্থী না দেয়া হয় তাহলে পিরোজপুরে আগামীতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা খুবই নাযুক হবে। তাই নেতাকর্মীদের দাবি অনুযায়ী পিরোজপুর সদর -১ থেকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি'র প্রার্থী দেয়া উচিৎ।
বিএনপির বাহিরে অন্যকোন প্রার্থী দিলে পিরোজপুর সদরের বিএনপির নেতাকর্মীরা তা মেনে নিবে না। আর এটা বিএনপির জন্যে ভাল হবেনা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিএনপি আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুরে তাদের প্রার্থী দিয়ে তাদের অতীতের ভুল থেকে দলকে কিছুটা হলেও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন।যদি বিএনপি এবারও প্রার্থী দিতে একই ভুল করেন তাহলে পিরোজপুর সদর -১ নির্বাচনী আসনে বিএনপি নেতাকর্মী খুজে পেতে কস্ট হবে। দলের সার্থেই পিরোজপুর সদরে -১ নির্বাচনী আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী নির্বাচিত করে দলের নেতাকর্মী দরে রাখার চেষ্টা করা উচিৎ।