Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খোলাবাজার২৪ শুক্রবার ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ঃ  ইচ্ছা অনুসারে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু। ভক্তদের শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে বাদ আছর নামাজে জানাজা পর চট্টগ্রাম নগরীর চৈতন্য গলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

শনিবার বাদ আছর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। জানাজা নামাজের ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরি।

এর আগে চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়ীতে আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়ির সামনে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা অজানাবশত কোনও দোষ করে থাকলে মাফ করে দেবেন। আপনাদের কাছে শেষ কথা, আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আমার বাবা হয়তো আপনাদের জন্য সর্বোচ্চটা দিতে পারেননি। বাবা সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে ভালবাসতেন। তিনি আপনাদের অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েছেন। তিনি অনেক করেছেন।

জানাজার পূর্বে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। প্রিয় শিল্পীকে শেষ বারের মতো দেখতে সকাল থেকে সেখানে ভিড় করেন স্বজন, হাজারো ভক্ত ও প্রিয়জনেরা।

দুপুর আড়াইটার পর আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে খোলা হয় শোক বই। শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। 

এর আগে সকালে পূর্ব মাদারবাড়ীর বালুর মাঠে রাখা হয় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। সেখানে স্বজন, হাজারো ভক্ত, শ্রোতা ও প্রিয়জনেরা তাকে শেষ বারের মতো দেখেন।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে তার মরদেহটি চট্টগ্রামে নেয়া হয়। মরদেহের সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই সন্তান আহনাফ তাজওয়ার ও মেয়ে ফাইরুজ সাফরাসহ ২১ জন ছিলেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব বাচ্চুর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরণা ইউনিয়নের হলেও তিনি ছোটকাল থেকে বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম শহরে। নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার ও এনায়েত বাজারে তাদের বাড়ি থাকলেও তিনি থাকতেন নগরীর মাদারবাড়ীর নানার বাড়িতে।

গতকাল শুক্রবার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হয় কিংবদন্তি ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। জাতীয় ঈদগাহে জানাজা ছাড়াও আরও দুটি জানাজা হয় ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টায় হৃদরোগের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। সকাল সোয়া ৯টায় তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৯টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।