খোলা বাজার ২৪, সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮ঃ মোঃরাসেল মিয়াঃ নরসিংদীপ্রতিনিধিঃ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল চরপাড়া গ্রামের জামের হোসেন হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় হাঁসের মাংস এবং ডিমও সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছেন তিনি। বাড়ির আশে পাশের খাল বিলে খাদ্যের ব্যাপক যোগান থাকায় হাঁস পালনে কোন রকম চিন্তা করতে হয় না জামের হোসেনকে। কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ায় জামের হোসেনের দেখা দেখি দিনদিন হাঁস পালনে ঝুঁকছে চরপাড়া গ্রামের অনেক বেকার যুবক। স্থানীয় হাটবাজার গুলোতেও রয়েছে দেশিও জাতের হাঁসের ব্যাপক চাহিদা।
এছাড়া আশেপাশের অনেকেই খাওয়ার জন্য জামেরের খামার থেকে হাঁস কিনে নিয়ে যাচ্ছে। জামের হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই তার হাঁস পালনে আগ্রহ জাগে। কিশোর বয়সে বাড়িতে ৫ থেকে ১০টি করে হাঁস পালন করতে থাকে। হাঁসের ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিন হাঁসের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন তিনি।
বর্তমানে জামের হোসেনের খামারে প্রায় ৫ শতাধিক হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে ডিম পাড়া হাঁস রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক। জামের হোসেন খামার থেকে মাংসের জন্য হাঁস বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ডিম বিক্রি হচ্ছে আরো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে জামের হোসেনে হাঁসের খামার থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
এক সময় আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে যখন অভাবের মধ্যে দিন পার করছিলাম। অন্যর বাড়ীতে কাজ করে যে টাকা পাইতাম তাদিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চলত, অনেক সময় কাজ থাকত না তখন অনাহারে থাকতে হত। এখন হাঁসের খামার থেকে উপার্জিত অর্থ সংসারের অভাব অনটন অনেকটা কমে এসেছে। এখন আর অনাহারে থাকতে হয় না।
আর্থিকভাবে এখন আমি অনেকটা সচ্ছ্বল।
এদিকে জামের হোসেনের দেখা দেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক বাড়িতে ছোট ছোট খামার করে হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন। চরপাড়া গ্রামের মামুন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, জামের হোসেনের দেখা দেখি তিনিও দেশীয় জাতের হাঁস পালন করছেন। তার খামারে প্রায় ৫০টি হাঁস রয়েছে। লেখাপড়ার খরচ যুুগিয়ে হাঁস বিক্রি করে পরিবারের বাড়তি খরচও যোগান দিচ্ছেন তিনি।
পলাশ উপজেলা প্রাণি সম্পাদ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, সাধারণত হাঁসের ডাকপ্লেগ ও কলেরা রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের জন্য হাঁসের বাচ্চার ২৮ দিন পর প্রথম ধাপে একটি ভ্যাক্সিন দিতে হয়। পরে আবার ৪ মাসের মাথায় ভ্যাক্সিন দিলে রোগবালাই আক্রমণের আর সুযোগ থাকে না। খামারিদের জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে হাঁস পালনে ও এর রোগ বালাই সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।