Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার ২৩ অক্টোবর ২০১৮ঃঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়ার পর সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে।

‘আমদানি ওয়ার্ড’ নামে পরিচিত ওই ওয়ার্ডে মইনুলের সঙ্গে বন্দি আছেন আরও ৪০ জন; সেখানে কোনো খাট কিংবা চেয়ারের ব্যবস্থা নেই।

কোনো বন্দিকে আনার পরপরই ‘আমদানি ওয়ার্ডে’ নেওয়া হয়। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার স্থান ঠিক হয়।

ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যরিস্টার মইনুলের বিষয়ে আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাকে আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় রংপুরে করা একটি মানহানির মামলায়  সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় মইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্রন্টনেতা আ স ম রবের বাড়ি থেকে।

মঙ্গলবার দুপুরে মইনুলকে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়। তার পক্ষে জামিনের আবেদন হলেও তা নাকচ করে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবুও বলেছেন, এই মামলার নথি যেহেতু রংপুরে, জামিনের আবেদন রংপুরেই করতে হবে।

আদালতের আদেশের পর বেলা সোয়া ৩টার দিকে মইনুলকে নেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

জেলার মাহবুব আলম বলেন, মইনুল হোসেন কারাগারে পৌঁছার পর আদালতের অন্য কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাকে রাখা হয়েছে।

এক কারা কর্মকর্তা বলেন, আদালত থেকে যে সব বন্দি প্রথম আসে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ‘আমদানি ওয়ার্ডে’ রাখা হয়। আসামির ধরন অনুযায়ী পরে এই ওয়ার্ড থেকে তাদের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

মইনুল হোসেন আজই আদালত থেকে কারাগারে গেলেন। আর এজন্য তাকে প্রথমে এই আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আদালতের অন্য কোনো নির্দেশনা না থাকলে বা ভিন্ন কোনো পরিস্থিতি না হলে তাকে সাধারণ বন্দিদের সাথে মেঝেতেই থাকতে হবে।

তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে মইনুল জরুরি অবস্থার সময়  দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন দুই প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিককে বন্দি করা হয়েছিল।