খোলা বাজার ২৪,বুধবার .২৪ অক্টোবর ২০১৮ঃ হযরত শাহজালালের পুন্যভুমি সিলেটের জনসভার মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বহুল আলোচিত জনসভা আর কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হতে যাচ্ছে। এই জনসভার মঞ্চ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে। দুপুর ২টায় এই জনসভা শুরু হবে। এই জনসভাকে ঘিরে সিলেটের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নগরীর রেজিস্টারি মাঠ এবং বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, পুরো নগরী জুরে ছোট বড় পোষ্টার ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের মধ্যেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বেশ সক্রিয় দেখা যায়।
সকাল ১১টার দিকেই বেশ কিছু নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসেন। ত্রিশোর্ধ্ব শহীদুল ইসলাম ও ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ আলী সকাল থেকেই রেজিস্টারি মাঠের আশপাশে ঘুরছেন। উভয়ের মাথায় সবুজ গোল টুপি, কাধে ঝুলন্ত ব্যাগ। হাতে বাশের একটি ত্রিভুজ আকৃতির স্ট্যান্ড। ওই স্টিকে নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, পতাকা, মিনি ফেস্টুন, হাত ফিতা, কার্ড শোভা পাচ্ছে। আর এসবের সবকিছুতেই শোভা পাচ্ছে ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে যোগ দিন’, ‘ঐক্যফ্রন্টের জনসভা সফল হোক।’
আজকের জনসভার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে নেয়া হয়েছে। আর এই ক্রান্তিকালে কামাল হোসেন সহ-আমাদের সিনিয়র নেতারা হাল ধরছেন। এই জনসভা খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে। আমরা এই সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
নানা বাধা বিপত্তির মধ্যেও সিলেটের এই জনসভা। এটা নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘সরকার নানানভাবে চেষ্টা করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অগ্রগতি সাফল্য বাধাগ্রস্থ করতে। তবে অহেতুক হামলা-মামলা গত দশ বছরে করেছে তারা (সরকার), শেষ সময়ে এসে এগুলো কোনো কাজে আসবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ- আমাদের এই সংগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার, ভালো নির্বাচন ও গণতন্ত্রপ্রতিষ্ঠা। সর্বপরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করা।’
এদিকে সিলেটের এই সমাবেশ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে সিলেট নগর পুলিশের পক্ষ থেকে। নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
এর আগে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সকাল সাড়ে ছয়টায় হযরত শাহ জালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। এরপর তারা জিয়ারত করেন হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার। দুই মাজার জিয়ারতের সময় দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।