Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


 

খোলা বাজার ২৪,বুধবার .২৪ অক্টোবর ২০১৮ঃ মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় মাছ ধরা নি‌ষিদ্ধের সময় জে‌লে‌দের যে আ‌র্থিক সু‌বিধা দেওয়া হয় তা ৪ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস এবং ৬০ কেজি করে চাল প্রদানসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি।বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, প্রতি বছরের নভেম্বর থেকে জুন ৮ মাস, জাটকা রক্ষায় মেঘনার ৬০ নল থেকে মনপুরা পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্দারমানিক নদী, পদ্মার ২০ কিলোমিটার হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ মেঘনার শাখা নদী, বরিশালের কালাবদর আড়িয়াল খাঁতে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।  এ ছাড়া ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এরপরে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় পরীক্ষা করে, যার কার‌ণে বিভিন্ন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয় জে‌লেরা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, মা ইলিশ, জাটকা ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষাকালীন সময় মৎস্যজীবী জেলে‌দের ত্রাণ হিসাবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪ মাস ও ২০ কেজি করে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এই খাদ্য সহায়তা বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অধিকাংশ চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রকৃত জেলেদের না দিয়ে তাদের মনগড়া তালিকা করে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করে। অনেক ইউনিয়নে চার মাসের পরিবর্তে দু মাস বা তিন মাস দেয় এবং ২০ কেজি চালের জায়গায় ১০ থেকে ১৫ কেজি চাল দেওয়া হয়।

তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের বদলে সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে চাল দিতে হবে, চার মাসের পরিবর্তে ছয় মাস চাল দিতে হবে এবং দুই হাজার টাকা প্রদান করতে হবে; গৃহহীন মৎস্যজীবী জেলেদের পুনর্বাসন করতে হবে; এলাকায় ছোট ছোট জলাশয়গুলো বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির নামে দিতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. ইসরাইল পন্ডিত, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শিকদারসহ অনেকে।