Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ঃ  জোট-মহাজোটের সমীকরণে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন গত মেয়াদে শরিকদের ছেড়ে দিতে হয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। ২০০৮ সালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান চারদলীয় জোটের মনোনয়নে ৬ হাজার ৪১২ ভোটে হেরেছিলেন মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ওই নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

২০১৪ সালে বিএনপি ভোটে না এলেও মনোনয়ন নিয়ে মহাজোটের দুই শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টির কাড়াকাড়ির কারণে আসনটি উন্মুক্ত করে দেয় আওয়ামী লীগ। দুই শরিক দলের নির্বাচনী যুদ্ধে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুকে ১২ হাজার ১৯৫ ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান। এবারও টিপু সুলতানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ব্যক্তিগত সহকারী ও ওয়ার্কার্স পার্টির যুব সংগঠন যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিকও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন। আর গোলাম কিবরিয়া টিপুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি।

দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর এখন ১৪ দলের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান টিপু সুলতান। ওয়ার্কার্স পার্টিতে কারও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন। জাতীয় পার্টি নেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, মানুষ তার বিকল্প কিছু ভাবছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০ ভাগ ভোট পাবেন তিনি। গত দুবার শরিকদের ছাড় দিলেও এবার আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে।

তবে মহাজোটের সমীকরণে বরিশাল-৩ আসনটি শেষ পর্যন্ত গত দুবারের মতো এবার শরিক দলের যে কাউকে ছেড়ে দিতে হতে পারে বলে ধারণা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। তারপরও দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও ছাত্রনেতা বলরাম পোদ্দার, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, আমিনুল হক কবির, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল এবং মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ বারী। অপরদিকে বিএনপিতে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন দলের দুই সহ-সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। এ আসনের তিনবারের সাবেক এমপি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন মঙ্গুও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

এ আসনে ২০ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান বলেন, এ মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না তার দল। চেয়ারপারসনের মুক্তির পর দল নির্বাচনে গেলে সবদিক বিবেচনায় দল তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশা করেন তিনি। ২০ দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জয়নুল আবেদীন বলেন, দল যোগ্য মনে করলে আমাকে মনোনয়ন দেবে। আর অন্য কাউকে যোগ্য মনে করলে দল তাকে মনোনয়ন দেবে। এ বিষয়ে কিছুই বলার নেই।