Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ঃ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ এ মামলার অন্য তিন আসামিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নাম্বার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।

সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত এ রায় দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না অন্য তিন আসামির আইনজীবীরাও।

তবে কারাগারে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ১১ টার দিকে বিচারক আদালতে প্রবেশ করেন। বিচারক প্রবেশ করার ৩০ মিনিট আগে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা আদালত প্রবেশ করেন। সাড়ে ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। রায়ের দিন সকাল থেকেই আদালত ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

এর আগে সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ই আগষ্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটি’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সাবেক একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

গত ৫ই সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়া ওই আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি অসুস্থ। এ অবস্থায় বার বার আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর একাধিক ধার্য তারিখে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আসতে ‘অনিচ্ছুক’। এমন পরিস্থিতিতে তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করে প্রসিকিউশন। তবে, বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করে জানান, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আসতে ইচ্ছুক। তবে, তিনি অসুস্থ। আগে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। সুস্থ হলেই তিনি আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। শুনানি নিয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর এক আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই এই মামলার বিচারকাজ চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। পরে বিচারিক আদালতের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে গত ১৪ই অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। গত ৬ই অক্টোবর তাকে এ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে ভর্তি করা হয়।