খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার ৩০ অক্টোবর ২০১৮, বিশেষ প্রতিনিধিঃ জোটের কারণে পিরোজপুর জেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি ক্রমান্নয়ে দূর্বল হচ্ছে। এই জেলার বিএনপির নেতারা বলেন, জোটরে কারনে এই আসনে জামাতের প্রার্থী দেয়া হয়। জেলার বেস কয়েকজন বিএনপির সিনিয়র নেতা ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতি করি দলকে ভালোবেসে, দলের আদর্শের কারণে, জোটের কারণে না”। জোটের কারণে পিরোজপুর জেলায় রাজনীতি দিনে দিনে দূর্বল হচ্ছে পাশাপাশি নেতা কর্মীরা তাদের মনোবল হারাচ্ছে। তারা বলেন, কি কারণে আন্দোলন সংগ্রাম করবো, নির্বাচনের সময় সেই জামায়াতকেই নমিনেশন দিবে, তবে আমরা কেন আন্দোলন করব!
নেতা কর্মীরা জামাতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সারা বাংলাদেশে মাঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদির ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত ব্যাপক আন্দোলন করেছিল, কিন্তু আমাদের পিরোজপুরে জামায়াতের কোন কর্মসূচী ছিলনা। নেই তাদের কোন কর্মী বাহিনী। তারা বিএনপির উপর ভরকরে দলকে বোকা বানিয়ে পিরোজপুর সদর-১ আসনকে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে দেখিয়েছে,প্রকতৃ পক্ষে এখানে জামায়াতের ভোট শতকরা ১০% ও নইে। এই সদর আসনে জাতিয়তাবাদী দল বিএনপির ভোট শতকরা ৪৫%।পিরোজপুর সদর-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হলে এই আসন পিরোজপুরবাসী জাতীয়তাবাদী দলকে উপহার দিবে।
দীর্ঘ দিন এই আসনে বিএনপির কোন নেতাকে নমিনেশন না দেওয়ার কারণে বিএনপি হারিয়ে ফেলছে তাদের কর্মী-বাহিনী, মনোবল এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগীতা। প্রতিয়োগীতা না থাকলে কখনো নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা থাকে না। নেতাদের কাছে রাজনীতির উপহার হচ্ছে নমিনেশন বা নির্বাচনি টিকেট। যে খেলায় উপহার থাকে না, সেই খেলায় খেলোয়ারও থাকেনা, আর নতুন খেলোয়াড় ও তৈরি হয় না। তাই পিরোজপুর সদর -১ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীদের দাবী, বিএনপি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করে দেখুক পিরোজপুর সদর-১ আসনে জামাতের ভোট কোথায় আছে?
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিোজপুর সদর-১ আসনে বিএনপি থেকে প্রের্থী না দেয়া হয় তাহলে পিরোজপুর সদর আসনে এক সময় বিএনপির নেতা কর্মী খূঁজে পাবে না।এই আসনে আনকে নেতা আছে,তারা বিএনপিকে ভালোবাসে বলেই পিরোজপুর সদর -১ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোবল পাচ্ছে।
পিরোজপুর সদর -১ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবী এবার কেন্দ্রথেকে সদর-১ আসনে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এই আসনে খোঁজ খবর নিয়ে বিএনপি থেকেই প্রের্থী দেয়ার দাবি করছে।
জিয়ানগর থানা বর্তমানে আলাদা হওয়ার কারনে সদর-১ আসনে জামায়াতের অবস্থা আগরে মতন নেই।নির্বাচনী আসন পূনর্বিন্নাসে স্বরূপকাঠী, নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর নিয়েই পিরোজপুর সদর-১ আসন। জিয়ানগর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন। মঠবাড়ীয়া ও ভান্ডারিয়া নিয়ে পিারোজপুর-৩ আসন।
জোটের কারণে যদি জামায়াতকে পিরোজপুরে নমিনেশন দিতেই হয়, তাহলে পিরোজপুর-২ আসন থেকে জামায়াতকে নমিনেশন দেওয়া হউক।
পিরোজপুর সদর -১ থেকে জামায়াতকে নমিনেশন দিলে এটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বা বিষ খাওয়ার সামিল হবে। এই আসনে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করতে হলে পিরোজপুর সদর-১ এর বিএনপির নেতাদের মধ্যে থেকেই নমিনেশন দিতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর-১ আসনে যদি বিএনপি থেকে প্রার্থী না দেয়া হয় তাহলে পিরোজপুর সদর-১ আসনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের যেকোন সিদ্ধান্ত বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা য়ায় । বিএনপির উচিৎ হবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর -১ আসনের বিএনপির প্রার্থী দেওয়া। তাহলে হয়তো পিরোজপুর সদর-১ আসনে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে পারবে।