Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার ৩০ অক্টোবর ২০১৮ঃ মিজানুর রহমান, লালমনিরহাট (হাতীবান্ধা) থেকে : লালমনিরহাট-১ আসনটি হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে হাতীবান্ধায় ১২টি ইউনিয়ন এবং পাটগ্রামে একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জয়নাল আবেদীন সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা চারবার আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আসনটি জাতীয় পার্টির হাত ছাড়া হয়ে চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে। বর্তমান সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন আসনটি দখলে
রেখেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়ন দৌড়ে মোতাহার হোসেনের সঙ্গে আরও এক প্রার্থী রয়েছে। একজন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল । আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিতেও রয়েছেন তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা
হচ্ছেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার
হাসান রাজীব প্রধান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ শাহীন আকন্দ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী
ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম
পাটোয়ারী উজ্জ্বল। আর জাতীয় পার্টি
থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও
কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) খালেদ আখতারের
মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।মোতাহার হোসেন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। মোতাহার হোসেন বলেন, হাইকমান্ড
তাকেই সবুজ সংকেত দিয়েছে। তিনি কার্যক্রম
চালিয়ে যাচ্ছেন। পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটগ্রাম উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলও আছেন মনোনয়ন দৌড়ে। রুহুল
আমীন বাবুল জানান, তিনি শতভাগ আশাবাদী দল এবার তাকেই নৌকা দেবে।
জোটের কারণে টানা কয়েকবার এ আসনে
জামায়াতের প্রার্থী থাকায় বিএনপির প্রার্থী ছিল
না। তবে দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি এখানে নির্বাচন করতে
যাচ্ছে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে
রয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দলের
কেন্দ্রীয় কমিটি ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির
সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, ছাত্রদল
কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ
শাহীন আকন্দ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী
ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম
পাটোয়ারী উজ্জ্বল বলেন,কারাবন্দী গণতন্ত্রের মা দেশনেএী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি তফসিল ঘোষণার আগেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে কারাগারে রেখে কোনো রকম নির্বাচন হবে না।
সরকারকে বাধ্য করা হবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে নির্দলীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। তাহলে এই বাংলাদেশে আবার সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরে আসবে, এবং মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমানে তিনি তার কর্মকান্ডের বিষয়ে আরও বলেন, দলের নেত্রীর নির্দেশ মত কাজ করে চলেছি। উনি যদি মনে করেন জনগণ আমাকে চায়, আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাহলে উনি আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি মনে করি মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতা দেখা হয় সেসব যোগ্যতা আমার রয়েছে।