Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,শুক্রবার,০২ নভেম্বর ২০১৮ঃ(পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি) বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে গনসংযোগ ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন।

জেলার তেজদাসকাঠী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক আলমগী হোসেন ছাত্র রাজনিতি থেকে শুরু করে জেলা ও কেন্দ্রের রাজনিতির সাথে সার্বক্ষনিক সম্পৃক্ত রয়েছেন।  

অপরদিকে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের বরিশাল বিভাগীয় আহবায়ক আলমগীর হোসেকে শিক্ষকদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। 

তিনি ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে ৯০ এর গনঅভূথ্যান সহ বিভিন্ন ছাত্রআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসময় তিনি জেলা ছাত্রদলে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম আহবায়ক, আহবায়ক এবং সর্বশেষ দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় মামলা হামলার শিকার হয়েছেন।

আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আলাপকালে আলমগীর হোসেন খোলাবাজার২৪ডট কমের প্রতিনিধিকে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরাপেক্ষ নির্বাচনের নিঃশ্চয়তা না পেলে এদেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না। তবে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমি দলের কাছে জোড়াল ভাবেই মনোনায়ন চাইব। আমি বিশ্বাস করি দীর্ঘ ৩৯ বছরের আমার ত্যাগ, পরিশ্রম, সাংগঠনিক কর্মকান্ড, মেধা, অর্থ বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আমার পরিবার কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও দান অনুদানের মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। আমিও এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক সংগঠনে সম্পৃক্ত রয়েছি। এ কারনে সাধারন জনগনের মধ্যে আমার একটি আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি দল আমাকে মনোনায়ন দিলে এ আসনটি প্রথম বারের মতো দেশনেত্রী উপহার দিতে পারবো।

আলাপকালে জোটের মনোনায়ন প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, জেলা সদরের এই আসনটিতে অবশ্যই বিএনপির তৃনমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্বকে মনোনায়ন দেওয়া উচিত। জেলা সদরে নিজ দলীয় প্রতিনিধি না থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং দলের সাংগঠনিক কাঠামো ধিরে ধিরে দূর্বল হয়ে যায় যা জেলাব্যাপী ছড়িয়ে পরে। অতএব দেশনেত্রীর কাছে আবেদন থাকবে জেলা সদরে বিএনপির নেতৃত্বকে মনোনায়ন দেয়া হোক।

তবে তিনি বলেন, দল যাকেই মনোনায়ন দিবেন আমি তাকে নিয়েই কাজ করবো।