খোলা বাজার ২৪,সোমবার,০৫ নভেম্বর ২০১৮ঃ (মোঃরাসেল মিয়াঃনরসিংদী প্রতিনিধি )নরসিংদীর জেলখানার মোড়ে রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায়, প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায়, অনিয়ন্ত্রিত যাত্রী পারাপারের কারণে, বাস স্টপজের অপ্রতুলতায়, যত্রতত্র গাড়ি রাখায় এবং অনেক বেশি মোটরসাইকেল চলাচল করায় সড়কে শৃঙ্খলা বিধান কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
তাছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর মূল ফটকে সরকার এটি ফুট ওভারব্রীজ করে দেওয়ার পরও মানুষ ফুট ওভারব্রীজটি ব্যবহার না করে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। সড়কের পাশে বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বাজার ও কোর্টপ্রাঙ্গনে যাওয়ার জন্য একমাত্র এই সড়কটি ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের মানুষের ‘আইন না মানার প্রবণতার কারণে’ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
এত কিছুর পরেও দিন শেষে ট্রাফিক পুলিশ সড়ক গুলোতে নিরাপত্তা ও যানজট মুক্ত করতে কঠোর প্ররিশ্রম করে আসছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ স্থান জেলখানার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার উপর দিয়েই পারাপার হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনাসহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। নগরবাসীকে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচলে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নরসিংদীর ট্রাফিক পুলিশসহ কর্মকর্তারা। এরমধ্যে ফুটওভার ব্রিজে মানুষকে চলাচল করতে চকলেট বিতরণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা।
সম্প্রতি এক জরিপ মতে, নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই পথচারী। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে নিচ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এক পথচারী বলেন, এভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে যানবাহনের ধাক্কায় পথচারীদের মৃত্যু হচ্ছে। ওই সময় আসলে চালকের পক্ষে কিছুই করার থাকে না। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই কেবল এমন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল বন্ধ করা সম্ভব।
এবিষয়ে নরসিংদী জেলখানার মোড়ে পার হওয়া একাধিক পথচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড়তলা পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে, আবার নিচে নামতে কষ্ট হওয়ার কারণে মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার এড়িয়ে চলেন।
তাই এখনই এই মূল ফটকগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা প্রায় সময়ই বৃদ্ধ ও অসহায় মানুষদের পারাপার করতে সহযোগিতা করছে।
কিন্তু স্কুলগামী ও বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যাত্রীরা সময়কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মরন হাতকে বেছে নিচ্ছে রাস্তা পার হতে গিয়ে। এখনই সাধারণ মানুষের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।