Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,০৮ নভেম্বর ২০১৮ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল জানিয়ে যথাযথ চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ছাড়পত্র দিয়েই তাকে তার গন্তব্যস্থল কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হারুন। 

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

আব্দুল্লাহ আল হারু বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসার পর আজকে তাকে ছাড়পত্র দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উনাকে এক মাস চিকিৎসা দিতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি করিনি। এখন উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এই স্থিতিশিলতা ইতিবাচক।’

তাকে সুস্থ বলা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেখুন সরাসরি এভাবে বলা যাবে না। উনার বয়োজষ্ঠজনিত রোগ আছে। তাই একেবারে সেটা বলা যাবে না। তবে তার শারীরিক অবস্থা ইতিবাচক অর্থে স্থিতিশীল। উনাকে যথেষ্ঠ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করাই আছে। যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে এখানে আসতে পারেন। আর কারাগারে তাকে নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করবেন। তার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চলবে।’

পরিচালক বলেন, ‘তার এমআরআই রিপোর্ট সবগুলো সন্তুোষজনক।’

‘বিএনপির অভিযোগ খালেদা জিয়াকে মেডিকেলের ছাড়পত্র না দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়েছে’- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ছাড়পত্রহীন কি পাঠানো যায়?  ছাড়পত্র দিয়েই পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাকে আবারও চিকিৎসার জন্য আনা হবে। এটি কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া।

উল্লেখ্য, বিএনপি প্রধানকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরুর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। খালেদা জিয়া ওই হাসপাতালের ছয়তলার ৬১২ নম্বর কেবিনে অবস্থান চিকিৎসাধীন ছিলেন।