Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,শনিবার,১০ নভেম্বর ২০১৮ঃ  গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপি এবার নির্বাচনে আসবে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ‘জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ এর আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানে সারা দেশের ৩০টি নির্বাচনী আসনের ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁরা সারা দেশের ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে বিজয়ী হয়ে আসেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সবাই এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন। এই ৭৩ জনের মধ্যে অনুষ্ঠানে ১০ জন চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হন। তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে অতিথিরা তার জবাব দেন।

আলোচনার একপর্যায়ে নির্বাচন ও সংসদ বয়কটের সমালোচনা করেন সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, যদি সব দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) রাজি না হয়, তাহলে তা করা উচিত নয়। জোর করে করলে অসুবিধা হতে পারে।

শামসুল হুদা মনে করেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া, ভাঙচুর—এ ধরনের প্রথাগত আন্দোলনের সংস্কৃতি ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম, এগুলো জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে।

সভাপতির বক্তৃতায় ইভিএমের বিপক্ষে বলেন সুজনের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান। তিনি বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইভিএম বন্ধ করে দিয়েছে।

‘না’ ভোটের বিধান চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থীদের একজন। এ প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে সুজনের নির্বাহী সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, শুধু ‘না’ ভোটের বিধানই নয়, কত শতাংশ ‘না’ ভোট হলে নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে করতে হবে, সেটাও সংযুক্ত থাকতে হবে।

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অস্ত্রের মতো তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিরাট হুমকি।

সুজনের নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বিকল্প হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকতে পারত। 
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।