খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার,২০ নভেম্বর ২০১৮ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন বুকে বুক বেঁধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা লড়াই করবো। ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে।’
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুযোগ একটা এসেছে। হাত-পা বেঁধে রাখার মধ্যেও আমাদের এগুতে হবে। নির্বাচনে আমাদের সকল অস্ত্র নিয়ে নামতে হবে। আর সেই অস্ত্র হলো ভোটের অস্ত্র। প্রতিরোধের দেয়াল তৈরির বিকল্প নেই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘জনগণের শক্তি দিয়ে অবাধ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। প্রতিরোধ তৈরি করতে হবে। এটা বাঁচা-মরার সংগ্রাম।’
দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আর পালিয়ে থাকার সময় নেই। আপনারা পালিয়ে না বেরিয়ে এবার গ্রামে গ্রামে যান। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সরকারের দুঃশাসনের কথা মানুষকে জানান। মনে রাখবেন, এই নির্বাচনে যাওয়া আমাদের আন্দোলনেরই অংশ।’
‘সরকার প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা ইন্টারনেট, স্কাইপে বন্ধ করেছে। কতোটুকু দেউলিয়াত্ব দেখা দিলে সরকার আমাদের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে রিট করে সেটি জনগণ বুঝে গেছে।’
তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমান নেতাকর্মীদের বলেছেন, নির্বাচনের দিনকে বিপ্লবের দিনে পরিণত করতে। দেশের বিচারহীনতা থেকে মুক্তি পেতে হলে ব্যালটের মাধ্যমে সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। নেতাকর্মীরাও ওয়াদা দিয়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা খুব কঠিন সময়ে আছি। আমরা ১০ বছর ধরে চেষ্টা করছি। শেষ চেষ্টা ৩০ ডিসেম্বর।’
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড.এমাজ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।