Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,বুধবার ,২১ নভেম্বর ২০১৮ঃসম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (নভেম্বর ২০) সন্ধ্যায় ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) এডিসি গোলাম সাকলাইন  খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সন্ধ্যায় তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এর আগে সম্পদের তথ্য পোপনের অভিযোগে দুদুকের করা মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ৭ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ১০ জুন দুদকের নোটিশ গ্রহণ করলেও নোটিশের কোনও জবাব দেননি রফিকুল ইসলাম মিয়া।

২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এর ১৫ দিন পর ৩০ নভেম্বর দেয়া হয় চার্জশিট। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর দুদকের এই মামলায় বিএনপির এই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলার বিচারকাজ।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে সাজা দেয়া ও তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফখরুল এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের পাশাপাশি আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সাজা দিয়ে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে একতরফাভাবে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকার গ্রেফতার ও সাজাসহ নানামুখী নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন,  বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বর্তমানে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ। বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা তার জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। এমতাবস্থায় মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা তার জীবনের ওপর বড় ধরনের হুমকি। 

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো একজন সজ্জন রাজনীতিবিদকে সম্পূর্ণ বানোয়াট মামলায় আসামি করে সাজা দেওয়ার অর্থই হলো বর্তমান সরকার এক অশুভ পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছে। তাদের জনসমর্থন শুন্যের কোঠায় আসাতে তারা বিরোধী দলের ওপর চরম দমন-নীতির আশ্রয় নিয়েছে।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি তরে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।